কোভিডে মৃত্যু কাজল সিনহার, সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ
ভোট আবহের মধ্যেই ধাক্কা দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave of COVID19)। এই পরিস্থতিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতারা।
কলকাতা: প্রায় প্রত্যেকদিনই কোনও না কোনও রাজনৈতিক নেতার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসছে। এই পরিস্থিতির জন্য বারবার কমিশনকে দায়ী করেছে তৃণমূল। আর এবার কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের চেষ্টার অভিযোগ করলেন করোনায় মৃত তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী।
দিন কয়েক আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। এরপর বুধবার কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোআগ দায়ের করলেন তাঁর স্ত্রী। উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ও কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। বুধবার বিকেলে খড়দা থাকায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নন্দিতা দেবী।
নন্দিতা সিনহা তাঁর অভিযোগপত্রে স্বামীর মৃত্যুর জন্য কমিশনকেই দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, দেশ জুড়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝেই বাংলায় আট দফা ভোটের আয়োজন করেছিল কমিশন। তিনি জানান, শেষ কয়েক দফা ভোট একসঙ্গে করার জন্য আবেদন করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সেই আবেদন শোনেনি কমিশন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা হয়নি বলেই দাব তাঁর। তাই স্বামীর মৃত্যুতে কমিশনকেই দায়ী করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা কড়চা: খোলা পরিবেশে বেশিদিন টিকতে পারে না ভাইরাস, দাবি গবেষণায়
চতুর্থ দফা ভোটের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কাজল সিনহা। করোনা পরীক্ষা করানো হয় তাঁর, রিপোর্ট পজেটিভ আসে। গত ২২ এপ্রিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্ত সুগারের মাত্রা অত্যন্ত বেশি ছিল তাঁর। সব রকম চেষ্টা করেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁকে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টে এক বিশেষ পর্যবেক্ষণে করোনা পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করা হয়। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউর জন্য দায়ী।” আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যখন নির্বাচনী সমাবেশ হচ্ছিল, তখন কি আপনারা অন্য গ্রহে ছিলেন?” আর এবার সত্যিই খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হল কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।