Singer KK Death: অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি খোদ জিএস? সেখানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? কেকে-র কনসার্ট ঘিরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Singer KK Death: মঙ্গলবারের অনুষ্ঠান ঘিরে সামনে আসছে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত। কী বলছে তৃণমূল

Singer KK Death: অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি খোদ জিএস? সেখানেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? কেকে-র কনসার্ট ঘিরে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রায় ২ ঘণ্টা গান গেয়েছিলেন কেকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 5:38 PM

কলকাতা: গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পরই মৃত্যু হয়েছে বলিউড শিল্পী কেকে-র। ছাত্রছাত্রীদের এক রঙিন সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার পরই এই মর্মান্তিক ঘটনা। শিল্পীর এই আকস্মিক মৃত্যুতে একদিকে যেমন কারণ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এত বেশি সংখ্যক শ্রোতা প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করাতেই অস্বস্তি বেড়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে। আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে যখন আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে, তখন সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলেজের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই পাননি সাধারণ সম্পাদক রাজেশ মণ্ডল। প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকলেও তাঁকে ডাকা হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন রাজেশ। কেকে-র অনুষ্ঠানকে ঘিরেও কি প্রকট হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? প্রশ্ন উঠছে সেখানেই।

তৃণমূল পরিচালিত সংসদ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কলেজের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতি ছাড়া কী ভাবে অনুষ্ঠান ইউনিয়নের নামে হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি এই অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে যে প্রাক বৈঠক হয় তাতেও নাকি যুক্ত করা হয়নি সাধারণ সম্পাদক রাজেশ মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, রাজেশ মণ্ডল নাকি কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠানটি যাতে খোলা জায়গায় করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ নাকি বিষয়টিতে কানই দেয়নি। গুরুদাস কলেজের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমাকে ডাকা হয়নি। আমাকে ছাড়াই অনুষ্ঠান হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ ঘোষ ছিলেন অনুষ্ঠানে।’

প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ওই ঘটনায় যে তিনি ক্ষুব্ধ, তা তাঁর কথা থেকে বেশ স্পষ্ট। এই অনুষ্ঠান ঘিরে প্রায় মাস খানেক ধরেই উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। অনেককে পাসও দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সংখ্যা দেখেই নাকি রাজেশ কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছিলেন বিষয়টি। খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করার কথা বলেছিলেন। এই প্রসঙ্গে অবশ্য প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বারবার তাঁকে ফোন করা হলেও, ফোন তোলেননি তিনি।

এ দিকে, বিতর্কের অবসান চাইছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘এটা খুব কঠিন সময়। এই সময় কেকের পরিবারের প্রত্যেককে যেন ভগবান শক্তি দেয়। অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করার সময় এটা সময় নয়। এটা বন্ধ হোক।’