TMC: ‘Left Job’, ফেসবুকে লিখে দিলেন তৃণমূলের অরূপ

TMC: সাংগঠনিক কোনও রদবদল না হলেও গত সোমবার কালীঘাটের বৈঠকে তৃণমূলের নতুন মুখপাত্রের তালিকা তৈরি হয়েছে। কে কোন বিষয়ে কথা বলবেন, সেটাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

TMC: 'Left Job', ফেসবুকে লিখে দিলেন তৃণমূলের অরূপ
Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2024 | 10:32 AM

কলকাতা: তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করেছেন অরূপ চক্রবর্তী। তবে এবার আর সেই তালিকায় নাম নেই তাঁর। বাদ পড়েছেন অরূপ সহ আরও অনেকেই। কে কোন বিষয়ে কথা বলবেন, সেটাও ঠিক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই ফেসবুকে পোস্ট করলেন অরূপ।

অরূপের পোস্টের অর্থ, তৃণমূলের সব কাজ থেকেই অব্যাহতি নিচ্ছেন তিনি! তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কথা বলেননি তিনি। দলের তরফেও মুখ খোলেননি কেউ। শুধু অরূপ চক্রবর্তী নয়, কোহিনুর, সুদীপ রাহাও বাদ পড়েছেন সেই তালিকা থেকে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, মুখপাত্রের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। এছাড়া, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে যে মুখপাত্রদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তার মধ্যে নতুন বেশ কয়েকজনের নাম ঢোকানো হলেও, বাদ গিয়েছে অরূপ চক্রবর্তীর নাম।

মুখপাত্রদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর শাসকদলের প্রবীণ নেতৃত্ব কি বুঝিয়ে দিল নবীনদের পরিসর কমে যাচ্ছে! প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। এর আগে আর এক তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের মুখপাত্র পদ যায়। আরজিকর কাণ্ডের আবহে প্রশাসনের সমালোচনা করার পরই ওই পদ চলে যায় তাঁর।

প্রবীণ-নবীনের মধ্যে যে রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বর্তমানে, তাতে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব পড়ছে বলেই দাবি করছে শাসকদলের নীচু স্তরের কর্মীরা। যদিও দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। নেতৃত্বের দাবি, নতুনদের জায়গা করে দিতে হবে। তবে পুরনোদের দলের অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যের সার্বিক বিষয়ে যাঁরা প্রতিক্রিয়া দেবেন, তাঁরা টেলিভিশন চ্যানেলে যেতে পারবেন। সেই তালিকায় রয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, কলকাতার কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী, শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য, টিএমসিপির প্রাক্তন সভানেত্রী জয়া দত্ত, সন্দীপন সাহা, মৃত্যুঞ্জয় পাল, প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়, তন্ময় ঘোষ, ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন এবং প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ।