বামেদের দোষ-ত্রুটি যাই হোক, বিধানসভায় ‘ওঁরা না থাকলে ভাল লাগে না’ সুব্রতর

West Bengal Assembly: তিনি বলছেন, সিপিএম ভাল-মন্দ যাই হোক, বিজেপির থেকে পরিষদীয় রাজনীতিটা অনেকটাই ভাল বুঝত।

বামেদের দোষ-ত্রুটি যাই হোক, বিধানসভায় 'ওঁরা না থাকলে ভাল লাগে না' সুব্রতর
বিধাননগর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2021 | 5:48 PM

কলকাতা: সপ্তদশ বিধানসভা অধিবেশনের বামেদের উপস্থিতি মিস করছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে বিরোধী আসনে থাকা বিজেপির সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচারে সিপিএমকেই অনেক এগিয়ে রাখছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্যের ৩৪ বছরের শাসকদের নিয়ে তিনি বলছেন, সিপিএম ভাল-মন্দ যাই হোক, বিজেপির থেকে পরিষদীয় রাজনীতিটা অনেকটাই ভাল বুঝত।

২০১১ সাল পরবর্তী প্রত্যেক নির্বাচনে একটু একটু করে সিপিএমের ভরাডুবির কারণ তাদের ‘পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অপব্যবহার’ বলেই উল্লেখ করেন সুব্রতবাবু। তাঁর কথায়, “আজ সিপিএম নেই তার প্রধান কারণ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অপব্যবহার। আমরা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা তৈরি করে গেলাম (কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন)। আর বামেরা তার অপব্যবহার করল।” অধিবেশন কক্ষের ভিতরেই এ কথা বলেন তিনি।

কক্ষের বাইরে বেরিয়ে এই প্রসঙ্গ উদ্ধৃত করেই তিনি আরও বলেন, “আমি কংগ্রেস আমলে পঞ্চায়েত আইন তৈরি করলাম। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় পাস করে দিলেন। কিন্তু কার্যকর করলেন না। বাম সরকার এসে করল। কিন্তু এসে করল তার অপব্যবহার। সেই জন্য আজ ওরা মুছে গিয়েছে।”

তবে সিপিএম-এর দোষ-ত্রুটি যাই থাকুক না কেন, তারা বিরোধী হিসেবে বিজেপির তুলনায় অনেংকাশে ভাল ছিল বলেই মনে করেন সুব্রতবাবু। যে কারণে এখন বিধানসভায় বামেদের মিস করছে তিনি। “ওঁরা না থাকলে এই হাউস ভাল লাগে না। আমরা এসে থেকে ওদের দেখেছি। ওরা খারাপ ভাল যাই হোক, বিধানসভার সব নিয়ম ওরা যাবে। তর্ক বিতর্ক ওঁদের সঙ্গে অংশ নেওয়া যায়। কিন্তু এখন যারা আছে তারা কিছুই জানে না,” বলেন সুব্রত।

আরও পড়ুন: ওয়ার্মারের তাপে ঝলসে গেল ১০ দিনের নবজাতকের দেহ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ন্যাশনাল মেডিক্যালে

তবে এই প্রথম তৃণমূলের কোনও নেতা বামেদের অনুউপস্থিতি অনুভব করে মুখ খুলেছেন এমনটা নয়। বাজেট অধিবেশন শুরুর পরও তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ডেপুটি চিফ হুইপ তাপস রায় বামেদের না থাকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। পার্থবাবুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “কংগ্রেস-সিপিএম শূন্য হওয়াতে আমরা উল্লসিত হতে পারি না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। আপনারা বাংলার কথা ভাবুন। সুসংহত ভাবে আলোচনা করুন।” খানিকটা একই সুরে তাপস রায়ও বলেছিলেন, “বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেস শূন্য। গণতন্ত্রের পক্ষে তা ভাল নয়। এক ব্যক্তি, এক নেতা পদ্ধতি সমর্থনযোগ্য নয়। বিধান পরিষদের গুরুত্ব কী, তা অনেকেই বোঝেন না।”

আরও পড়ুন: ‘সৌরভ রাজ্যসভার সাংসদ হলে ভাল কথা,’ মমতা-মহারাজ সাক্ষাৎ নিয়ে মন্তব্য দিলীপের