যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজ্যে ১৭টি নতুন আইসি তৈরি করছে রেল পুলিশ
Rail Police: ‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দ এবং নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত। প্ল্যাটফর্ম পুলিশ পোস্টগুলিকে তদন্ত কেন্দ্র করা হচ্ছে। এর ফলে বিধাননগরে কোনও অপরাধ হলে, সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে আর শিয়ালদহ যেতে হবে না।’
সিজার মণ্ডল: যাত্রী নিরাপত্তা বাড়াতে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের। তৈরি হচ্ছে ১৭টি নতুন আইসি। রেলপথে অপরাধ আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সর্বোপরি যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে মোট ১৭টি রেল পুলিশ তদন্তকেন্দ্র বা ফাঁড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পুলিশ। সূত্রের খবর, জিআরপি বা রেল পুলিশের এ ধরনের তদন্ত কেন্দ্র গঠনের ঘটনা রাজ্যে এই প্রথম।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের বেলুড়, ব্যান্ডেল, শিয়ালদহ, বাঁকুড়ার মতো বড় জিআরপি থানার উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবস থেকেই কাজ শুরু করবে নতুন তদন্ত কেন্দ্রগুলি।
রেল পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দ এবং নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত। প্ল্যাটফর্ম পুলিশ পোস্টগুলিকে তদন্ত কেন্দ্র করা হচ্ছে। এর ফলে বিধাননগরে কোনও অপরাধ হলে, সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে আর শিয়ালদহ যেতে হবে না।’
একইভাবে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও দূরের থানার ওপর ভরসা করে থাকতে হবে না। দেহ সরাতে বা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করতেও সমস্যার সুরাহা হবে অনেকটাই বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
রেল পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া ডিভিশনের ডানকুনি, তারকেশ্বর, দুর্গাপুর, বোলপুরের মতো ৯টি স্টেশনে তদন্তকেন্দ্র বা ফাঁড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া শিয়ালদহ ডিভিশনের বিধাননগর, ক্যানিং, ব্যারাকপুর, কল্যাণী এবং বসিরহাট স্টেশনে তৈরি হচ্ছে এই তদন্তকেন্দ্র। খড়গপুর ডিভিশনেও চন্দ্রকোনা রোড এবং সাঁতরাগাছি স্টেশনে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিটি তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে সাব-ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। আয়তন এবং অপরাধের সংখ্যা অনুপাতে কোথাও ৩ জন অ্যাসিস্টান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং ১৫ জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। আবার বিধাননগরের মতো স্টেশনে যেখানে যাত্রী সংখ্য়া বেশি এবং অপরাধের সংখ্যা এবং অভিযোগও বেশি সেখানে ২ জন সাব-ইনস্পেক্টর, ৬ জন এএসআই এবং ২০ জন কনস্টেবল মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন রাজ্যে রেল পুলিশের ৪৪ টি থানা রয়েছে হাওড়া, শিয়ালদহ, শিলিগুড়ি এবং খড়গপুর রেল পুলিশ সুপারদের অধীনে। সূত্রের খবর, কয়েক বছরের মধ্যেই এই তদন্তকেন্দ্রগুলিকে থানা হিসাবে উন্নীত করা হবে। আরও পড়ুন: রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে ডাক পেলেন মমতা, বাংলার ‘শান্তির স্বরূপ’ নিয়ে পালটা কটাক্ষ বিজেপির