Minority Votes in West Bengal: বদলাচ্ছে সমীকরণ? সত্যিই কি তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ধরেছে বড় চিড়?

Minority Votes in West Bengal: আমাদের রাজ্যে একটা দীর্ঘ সময় সংখ্যালঘু ভোট থাকত বামেদের দখলে। কিন্তু, ২০১১ সালের পালাবদল পর্বে সেই ভোটে থাবা বসায় তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ হিসেবে এক্ষেত্রেও উঠে আসে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মত ইস্যু।

Follow Us:
| Updated on: May 22, 2024 | 10:09 PM

কলকাতা: ভোটের মাঝে রাজ্যে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বিতর্ক বেশ দানা বেঁধেছে। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে তিনটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নাম ওঠার পর থেকেই রে রে করে উঠেছে প্রতিপক্ষ বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের যুক্তি মুসলমান সম্প্রদায়ের ভোট যাতে ভাগ না হয়, সেই লক্ষ্যেই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য। সত্যিই কী তাই! মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যের পেছনে কী সহজ সরল পাটিগণিত কাজ করছে? যে পাটিগণিতের মূলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ? বছরের আর পাঁচটা দিনও এই তর্কটা চলে। কিন্তু ভোট এলে আরও আরও তীব্র হয় আলোচনা। সংখ্যালঘুরা কী শুধুই ভোট ব্যাঙ্ক? সেই জন্যই কী ভোটের মরসুমে সংখ্যালঘু ভোটারদের নিয়ে বাড়তি আলোচনা? মানুষের নানান সমস্যা থেকে নজর ঘোড়াতেই এই তর্ক তোলা হয়? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, এটা গোটা বিশ্বের রাজনীতির একটা পরিচিত চরিত্র। 

এই রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৭ থেকে ৩০ শতাংশ। সেই ভোট যে কোনও দলের লক্ষ্য। কেউ চান সেই ভোটের পুরো অংশটা নিজেদের দখলে রাখতে। আবার কেউ চান এই ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাক। আমাদের রাজ্যে একটা দীর্ঘ সময় সংখ্যালঘু ভোট থাকত বামেদের দখলে। কিন্তু, ২০১১ সালের পালাবদল পর্বে সেই ভোটে থাবা বসায় তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ হিসেবে এক্ষেত্রেও উঠে আসে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মত ইস্যু। 

সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের পাশাপাশি বাম জমানার শেষে আরও একাধিক ইস্যু সামনে আসতে শুরু করে। যেমন রিজওয়ানুর হত্যা। সাচার কমিটির রিপোর্ট ইত্যাদি। বামেদের ঘর থেকে তৃণমূলের ঘর আলো করে সংখ্যালঘু ভোট। ২০০৯ থেকে ২০২৪। ১৫টা বছর। এর মধ্যে ১‍৩ বছর রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকেই বলছেন, বর্তমানে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে বড় চিড় ধরেছে। বামেরা নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেও বলছে, চাকা ঘোরার কথা। 

উদাহরণ হিসেবে ধরা হয় সাগরগিঘিকে। উপনির্বাচনে সংখ্যালঘু এলাকায় তৃণমূলের থেকে জয় ছিনিয়ে নেয় বাম-কংগ্রেস জোট। পাশাপাশি আনিস খানের মৃত্যু, সিএএ, যা বড় এফেক্ট বলে দাবি করেন অনেকে। কিন্তু একটা কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে মালদা, মুর্শিদাবাদের মত জেলা, যেখানে সংখ্যালঘুরা সংখ্যার বিচারে সংখ্যাগুরু, সেখানে আগেও ভোট ভাগ হয়েছে। বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে। সেই ধারাই এখনও চলছে। এতে নতুন কোনও অঙ্ক নেই।