WB Municipality Election: ‘রাজ্যের কথা মেনে কাজ করলে চলবে না’, পুরভোট নিয়ে বৈঠকের পর কমিশনকে চিঠি রাজ্যপালের
WB Municipality Election: সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা ও হাওড়া নয়, রাজ্যপাল অনান্য পুরসভাতেও একইসঙ্গে নির্বাচন চাইছেন।
কলকাতা: পুরভোট নিয়ে সংঘাতের পথে রাজভবন। কমিশনকে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবারই হয় বৈঠক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, রাজ্য সরকারের শাখা হিসাবে কাজ করলে চলবে না, তাদের কথা মতো চললেও হবে না- কড়া ভাষায় সর্তক করে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সৌরভ দাস। সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা ও হাওড়া নয়, রাজ্যপাল অনান্য পুরসভাতেও একইসঙ্গে নির্বাচন চাইছেন।
রাজ্যপালের সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, কেবল কলকাতা ও হাওড়াতেই কেন পুরভোট? বাকি পুরসভাগুলিতে কেন ভোট হবে না? সব পুরসভাগুলিতেই একই সঙ্গে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তারপরই দুটো টুইট করেন। দ্বিতীয় টুইটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, পুরভোটের ক্ষেত্রে তাঁর কী কী কর্তব্য। বৈঠকের পর একটি চিঠি কমিশনকে পাঠানো হয় রাজ্যপালের তরফে।
Article 243ZA of Constitution invests SEC with “superintendence, direction and control of electoral rolls for, and conduct of, all elections to Municipalities”& this cannot be qualified or diluted by any law @MamataOfficial as such law has to be subject to Constitution.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 23, 2021
নির্বাচন কমিশনের তরফে তার কোনও উত্তর এখনও পাঠানো হয়নি। নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে মনে করছে, রাজ্যপাল কোনও পরামর্শ দিতেই পারেন। তবে সেই পরামর্শ মেনেই যে কাজ করতে হবে, সেরকম কোনও আইন সংবিধানে নেই। ২৪৩K নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র আইনে বলা রয়েছে, ভোটার তালিকা তৈরি করা থেকে শুরু করে ভোট ঘোষণা, বিজ্ঞপ্তি, ভোট করানোর প্রস্তুতি-তার সব দায়িত্বই কমিশন গ্রহণ করতে পারে।
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই ভোটের নির্ঘণ্ট স্থির করা হবে। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তাঁরা। রাজ্যপালের পরামর্শ নিতে পারেন। কিন্তু সেই পরামর্শ যে মানতেই হবে, এমনটা নয়। রাজ্যপাল চাইছেন, সব পুরসভার ভোট একসঙ্গে হবে। সেক্ষেত্রে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এম ওয়ান ও এম টু ধরনের এত ইভিএম তাদের নেই। যাতে ১১২ টা পুরসভার ভোট করানো সম্ভব হয়। কার্যত দ্বন্দ্ব রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মীরা পাণ্ডে দায়িত্বে থাকাকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে কমিশন বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যপালের পরামর্শ তারা জটিলতা এড়াতেই নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই পরামর্শ যে মানতেই হবে তেমনটা নয়।
এদিকে, আজকের মধ্যেই হাওড়া ও বালি পুরসভার আইনি জটিলতা না মিটলে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার কেবলমাত্র কলকাতা পুরসভার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। উল্লেখ্য, হাওড়ার পুর সংশোধনী বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন ঘোষণার একাধিক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কমিশনকে। হাইকোর্টে বিচারাধীন ভোট সংক্রান্ত সেই মামলা।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment: ডিভিশন বেঞ্চে আজ গ্রুপ-ডি মামলা, রায়ের দিকে নজর সিবিআই-এর