Anubrata Mondal: এবার সিবিআইয়ের হাতে ‘কল লিস্ট’, এনামুল-আব্দুল লতিফের সঙ্গে ১৬ বার ফোনে কথা : সূত্র

Cattle Smuggling: সূত্রের খবর, সিবিআই তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ বার ফোনে কথা হয়েছে সায়গলের সঙ্গে এনামুল-আব্দুল লতিফদের।

Anubrata Mondal: এবার সিবিআইয়ের হাতে 'কল লিস্ট', এনামুল-আব্দুল লতিফের সঙ্গে ১৬ বার ফোনে কথা : সূত্র
সিবিআইয়ের নজরে সায়গলের কল লিস্ট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 12:01 PM

কলকাতা: গরু পাচার মামলার তদন্তে ধীরে ধীরে নতুন মোড়ের দেখা মিলছে। সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর ৬ দিন পার হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এরইমধ্যে নিত্য নতুন তথ্য হাতে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের দাবি, এবার তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে কললিস্ট। কাদের কথোপকথনের এই তথ্য? সূত্রের খবর, গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক ও আব্দুল লতিফের নিয়মিত ফোনে কথা হত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের।

সিবিআই সূত্রে খবর, অন্তত ১৬ বার ফোনে কথা হয়েছে সায়গল হোসেনের সঙ্গে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত এনামুল ও আব্দুল লতিফের। আদালত সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাদের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে যখন সায়গল হোসেনের নাম উল্লেখ করে, একইসঙ্গে সেখানে উল্লেখ করা হয় কীভাবে এই ঘটনায় সায়গলের নাম জড়িয়েছে। সূত্রের দাবি, বিস্তারিতভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়।

সিবিআই তাদের তদন্তে এখনও অবধি এনামুল ও আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভিন রাজ্য থেকে বীরভূমে যে গরু আনা হত, তা ইলামবাজারের গরুর হাটে নিয়ে যাওয়া হত। এই হাটের দেখভালের দায়িত্বে আব্দুল লতিফ ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। এখান থেকে মুর্শিদাবাদ হয়ে সীমান্ত পার করে গরু বাংলাদেশে পাচার হত বলেও সিবিআই তদন্তে জানতে পেরেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সায়গলের ভূমিকা কী?

সায়গল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীই শুধু নন, ছায়াসঙ্গীও। সিবিআই সূত্রে খবর, এই সম্পর্কের সমীকরণকে কাজে লাগাতেই সায়গলের জন্য এনামুল, আব্দুল লতিফদের যোগাযোগ। পাচার প্রক্রিয়ার পথ যাতে মসৃণ থাকে, তা নিশ্চিত করতেই সায়গলের সঙ্গে যোগাযোগ বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, সিবিআই তাদের চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ বার ফোনে কথা হয়েছে সায়গলের সঙ্গে এনামুল-আব্দুল লতিফদের। কোন কোন নম্বর থেকে ফোন এসেছে, তারও উল্লেখ রয়েছে। সূত্রের খবর, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয় এই চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘অন দ্য বিহাফ অব অনুব্রত মণ্ডল’, অর্থাৎ অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে কাজ করতেন সায়গল হোসেন। শুধু গরু পাচার নয়, বেশ কিছু জমির অর্থের লেনদেনের বিষয়ও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে।

সেই জমি হয় সায়গল হোসেনের নামে রয়েছে কিংবা আব্দুল লতিফের নামে রয়েছে। এই সম্পত্তি বাড়ানোর জন্য সায়গল হোসেনকে তাঁরা টাকা দিয়েছেন বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। সিবিআইয়ের বক্তব্য, অনুব্রতর প্রভাবকে খাটিয়েই সায়গল এভাবে কাজ করেছে।

আরও পড়ুন: 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল