Mamata Banerjee: আর একবার ‘নোটবন্দি’, কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

Mamata Banerjee slams Centre: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে 'আরও এক খামখেয়ালি ও তুঘলকি নোটবন্দি নাটক' বলে খোঁচা দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আমজনতা আবারও খুব বাজেভাবে ধাক্কা খাবে এবং মানুষের ভীষণ হয়রানি হবে।

Mamata Banerjee: আর একবার 'নোটবন্দি', কেন্দ্রকে নিশানা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 4:12 PM

কলকাতা: শেষ কবে আপনি ২০০০ টাকার নোট হাতে পেয়েছেন মনে পড়ছে? বাজারে বা এটিএম কাউন্টারে অনেকদিন ধরেই দেখা নেই ২০০০ টাকার নোটের। আর এবার ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সাধারণ মানুষের কাছে কিংবা বাজারে যা যা ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, সেগুলি ৩০ সেপ্টেম্বরের ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে বদলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এরপরই কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে টুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘আরও এক খামখেয়ালি ও তুঘলকি নোটবন্দি নাটক’ বলে খোঁচা দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আমজনতা আবারও খুব বাজেভাবে ধাক্কা খাবে এবং মানুষের ভীষণ হয়রানি হবে।

টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জোর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটি শাসকের জনবিরোধী এবং বিশেষ কিছু পুজিপতিদের সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার স্বরূপকে ঢাকা দেওয়ার জন্যই এই ধরনের অসাধু পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকারের এই ধরনের দুঃসাহস মানুষ কখনও ক্ষমা করবে না।’ উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরে দেশজুড়ে নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। রাতারাতি বাতিল হয়ে গিয়েছিল পুরনো ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট। কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, কালো টাকা উদ্ধার করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর ২০১৬ সালে কেন্দ্রের সেই নোটবন্দির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথম সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেই নোটবন্দির পর ব্যাঙ্কে, এটিএমের সামনে লম্বা লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল। বাজারে এসেছিল, নতুন ৫০০ টাকার ও ২০০০ টাকার নোট। যদিও ২০১৬ সালের সেই নোটবন্দির পর কতটা কালো টাকা ফেরত এসেছে সরকারের হাতে, সেই নিয়ে অনেক সময়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। আর এবার শুক্রবারের ঘোষণার পর আরও একবার কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।