CV Ananda Bose: ‘জমিদারি হারানোর ভয় রয়েছে নাকি?’ TMC-কে ‘তৃণমূলের’ মানে বোঝালেন বোস
Abhishek Banerjee: অভিষেকদের দাবি, বোস শিলিগুড়িতে গিয়ে দেখা করার জন্য বলেছেন ঠিকই, কিন্তু কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছানোর জন্য হাতে সময় দেওয়া হয়েছে ২-৩ ঘণ্টা। সেই কথা বলার সময় অভিষেক বলেছেন, 'এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।' এবার দিল্লি থেকে তার জবাব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কলকাতা: ফাঁকা রাজভবনের সামনে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান চালালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। রাজ্যপাল বোস আগে থেকেই শহরের বাইরে ছিলেন। পাহাড়ের বিপর্যয়ের খবর পেয়ে আজ সকালবেলাই দিল্লি থেকে সোজা উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে আবার ফিরে গিয়েছেন দিল্লিতে। অভিষেকদের দাবি, বোস শিলিগুড়িতে গিয়ে দেখা করার জন্য বলেছেন ঠিকই, কিন্তু কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছানোর জন্য হাতে সময় দেওয়া হয়েছে ২-৩ ঘণ্টা। সেই কথা বলার সময় অভিষেক বলেছেন, ‘এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধেই আমাদের আন্দোলন।’ এবার দিল্লি থেকে তার জবাব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কারও নাম না করে রাজ্যপাল বোসের বক্তব্য, মাটির কাছাকাছি যাওয়াটা জমিদারি নয়। মাটির কাছাকাছি না যাওয়া এবং শহুরে বিলাসবহুল প্রাসাদে বসে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করাটাই হল ‘নয়া-জমিদারি’। বোসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল কাছে মাটি ও সেই মাটিতে বসবাস করা মানুষজন সবসময়ই পবিত্র। গ্রামে যাওয়া মানে ‘গ্রাস-রুট’ স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া, যাকে বাংলায় বলে ‘তৃণমূল’। বোসের আরও বক্তব্য, ‘শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল (দল) বাকিদের তৃণমূল স্তরের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। কীসের ভয়? তারা কি নিজেদের জমিদারি হারানোর ভয় পাচ্ছে?’
রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কথাও উঠে এসেছে রাজ্যপাল বোসের বিবৃতিতে। বোসের দাবি, পার্থ ভৌমিক বলেছেন রাজ্যপাল বন্যাকবলিত এলাকায় যাওয়া পর্যটকের মতো। সেই নিয়ে পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যপাল বোসও। বলেছেন, “হ্যাঁ, যেখানেই মানুষ বিপদে পড়বে, আমি সেখানেই যাব। যদি মন্ত্রীরাও এখানে আসেন, অন্তত পর্যটকদের মতো করে হলেও…।” পার্থ ভৌমিকের উদ্দেশে বোস আরও বলেছেন, তিনি জলপথ পরিবহণ মন্ত্রী। তিনি যদি এখানে আসেন, তাহলে বুঝতে পারবেন সব রাস্তা জলপথে পরিণত হয়েছে।