‘প্রতিশ্রুতি মতো টিকা আসছে না,’ সবিস্তারে খতিয়ান পেশ করে ক্ষোভ উগরে দিল স্বাস্থ্যভবন
West Bengal Vaccination: নাম না করে কেন্দ্রের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
কলকাতা: শেষ আড়াই মাসে একটিও ভ্যাকসিনের ডোজ় নষ্ট হয়নি। এই সময়ের মধ্যেই গোটা দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টিকাকরণ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তা সত্ত্বেও টিকার আকালে ভুগছে রাজ্যে। শনিবার যা নিয়ে খুঁটিনাটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে ফের ক্ষোভ উগরে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, “প্রতি মাসে দেড় কোটি টিকাকরণ করার ক্ষমতা থাকলেও রাজ্য তা পারছে না। সেই পথে একমাত্র বাধা টিকার অপ্রতুলতা। অনিয়মিত টিকা সরবরাহ।” যার জন্য নাম না করে কেন্দ্রের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে মোট ৭৫ লক্ষ কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ় পাঠানোর কথা ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু শুক্রবার ১২ লক্ষ ডোজ় টিকা এলে পৌঁছনোয় এ পর্যন্ত মোট ৫৪ লক্ষ ডোজ় ভ্যাকসিন এসেছে বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ, এখনও ২১ লক্ষ ডোজ় বাকি। এর পাশাপাশি রাজ্যে কোভ্যাক্সিনের মজুত খুবই কম বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। গোটা রাজ্যে একাধিক জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এই মুহূর্তে মাত্র ১ লক্ষ ডোজ় কোভ্যাক্সিন রয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। ২১ ও ২৩ জুলাই দুই দফায় প্রায় আড়াই লক্ষ কোভ্যাক্সিন পৌঁছনোর কথা থাকলেও তা সময় মতো আসেনি বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্যভবন।
কড়া এই বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নাম উল্লেখ করা না হলেও স্বাস্থ্যভবন জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে প্রত্যেক মাসে দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে রাজ্যে। শুধুমাত্র টিকার সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ার কারণেই সেটা করা সম্ভব হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ২ কোটি ৭৬ লক্ষের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে প্রথম ডোজ় পেয়েছেন ১ কোটি ৯৫ লক্ষ এবং দু’টি ডোজ় পেয়ে গিয়েছেন ৮১.৯ লক্ষ মানুষ। ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীরাই রাজ্যে সবথেকে বেশি টিকা পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আরও পড়ুন: হাইভোল্টেজ বুধবার: দিল্লিতে মেগা বৈঠক বিরোধীদের, উদ্যোগটা নিজেই নিলেন মমতা