CV Ananda Bose: ‘আমি বাংলা শিখব’, নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন রাজ্যপাল বোস
Netaji Birthday: এসবিআইয়ের শ্যামবাজার শাখায় ১৯৭৪ সালের শেষ পর্বে প্রবেশন অফিসার হিসাবে কাজ শুরু করেন বর্তমান রাজ্যপাল।
কলকাতা: আইএএস হওয়ার আগে এসবিআইয়ের (State Bank of India) প্রবেশন অফিসার হিসাবে কাজ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সেই দিনগুলোর সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার। সোমবার সেই শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করতে এসে কার্যত নস্টালজিক হয়ে পড়েন রাজ্যপাল বোস। বারবার তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে অতীতের দিনগুলোর কথা। বাংলার প্রতি তিনি যে কতটা আবেগপ্রবণ, তাও এদিন তাঁর কথায় উঠে আসে। শ্যামবাজারে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, বাংলা ভাষা শিখতে চান তিনি। বাংলাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এদিন বলেন, “আমি বাংলা শিখব।” নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি চলে যান বাগবাজার স্ট্রিটের এসবিআইয়ের শ্যামবাজার শাখায়। যে অফিসে একসময় কাজ করেছেন তিনি। রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সেখানে গিয়ে।
এসবিআইয়ের শ্যামবাজার শাখায় ১৯৭৪ সালের শেষ পর্বে প্রবেশন অফিসার হিসাবে কাজ শুরু করেন বর্তমান রাজ্যপাল। এদিন সেখান গিয়ে এসবিআইয়ের নানা বিষয় সম্পর্কে নিজের মতামত এবং কর্মজীবনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। কৃষকদের জন্য একটা সহজ স্কিম চালু করতে এসবিআইকে পরামর্শ দেন। কলকাতার রসগোল্লার প্রতি তাঁর যে টান, এদিন সে কথাও বলেন রাজ্যপাল। নাম করেন কেসি দাসেরও।
নেতাজির জন্মদিবসে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে নেতাজির মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিভি আনন্দ বোস। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা উত্তর কলকাতা নেতাজি জন্মোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার সেন। তাঁকে পাশে নিয়েই নেতাজির সঙ্গে পরিবারের ভাবাবেগের প্রসঙ্গ তুলে দেশনায়ককে ‘চিরঞ্জীবী’ বলে আখ্যায়িত করেন সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি জানিয়ে দেন, নেতাজি সম্পর্কিত কোনও প্রশ্ন ছাড়া আর কোনও প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। নেতাজির কথা ছাড়া আর কোনও কথা বলেনওনি তিনি।
তবে এসবিআইয়ে দাঁড়িয়ে এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন রাজ্যপাল বোস। ১৯৭৫ সালের একটি ঘটনার কথা বলেন। সে সময় ব্যাঙ্কে কাজ করছেন তিনি। একদিন শহর মিছিল-স্লোগানে মুখরিত। ব্যাঙ্কে আসছিলেন তরুণ সিভি আনন্দ বোস। লোকের ঠেলাঠেলিতে হঠাৎই মিছিলের মাঝে ঢুকে পড়েন। সেই মিছিলে এমন ভিড় আর বেরোতেই পারেননি। প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ওই মিছিলেই হেঁটে ফেলেন। সকলের সঙ্গে স্লোগানও দিতে হয় তাঁকে।