Partha Chatterjee: ‘হুজুর কেউ আর মন্ত্রী হতে চাইবেন না’, কোর্টরুমে কেন এমন কথা বললেন পার্থ?
CBI: পার্থর জামিনের আবেদন এদিনও নাকচ হয়ে যায়। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
কলকাতা: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এদিন পার্থ-সহ বাকিদের পেশ করা হয়। জামিনের আর্জি জানান আইনজীবীরা। যদিও সিবিআই প্রথম থেকেই জামিনের বিরোধিতা করে। এদিন শুনানি চলাকালীন বারবার ষড়যন্ত্রের কথা বলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। পাল্টা পার্থ জানতে চান, এই ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞাটা কী? এদিন কোর্টরুম থেকে বেরোনোর আগে পার্থ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “হুজুর আমি তাহলে বেরোচ্ছি।” তা শুনে বিচারক জানতে চান, “আপনি কি কিছু বলবেন?” এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিচারকের উদ্দেশে বলেন, “সকলে সোশ্যাল জাস্টিসের কথা বলছেন। এখানে সামাজিকভাবে আমার চরিত্র হননের কাজ চলছে। কেউ আর মন্ত্রী হতে চাইবেন না। ইডি-সিবিআইকে বসিয়ে দিন। আমি মন্ত্রী, প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা হয়ে যাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, “নিয়োগে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি যদি কিছু করে থাকে তাতে আমার মক্কেলের কোনও ভূমিকা নেই। চার্জশিটের পর কী করে আবার তদন্ত করার কথা বলতে পারে? এটা তো আইনবিরুদ্ধ। এই কথা রোজ বলে একজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায় না। আমার মক্কেল কোথাও যাবেন না। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।”
এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, “প্রত্যেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত। যেন একটা চেনের মাধ্যমে যুক্ত। অপরাধ সংগঠন করতে প্রত্যেকে তাঁদের মতো করে কাজ করছে। হাইকোর্ট ভরসা রেখেছে। আমাদের সেটাকে মাথায় রেখে শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। অভিযুক্তরা সহযোগিতা করছেন না। আমরা তাঁদের ফের জেল হেফাজতে চাইছি। কারণ, প্রত্যেকে প্ল্যান করে এই কাজ করেছেন। কোন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই, তাঁরা সবটা জেনে যাচ্ছে। সাক্ষী কী বলবেন, তাও জেনে যাচ্ছে।” একইসঙ্গে এদিন সিবিআই ফের প্রভাবশালী তত্ত্বে শান দেয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, “তাঁরা সবাই প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে সাক্ষীদের উপর প্রভাব খাটাবেন।” পার্থর পাশাপাশি এদিন আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের। তাঁদেরও ২২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। নবম-দশম মামলার পাশাপাশি গ্রুপ সি নিয়োগ মামলাতেও ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।