Swasthya Bhawan: সরকারি হাসপাতালের বাইরে কতক্ষণ? স্বাস্থ্য ভবনের নতুন অ্যাডভাইজারি ঘিরে শুরু তরজা

Swastha Bhawan: বেসরকারি হাসপাতালে কতক্ষণ সময় দিচ্ছেন সরকারি চিকিৎসকরা। কাজের হিসাব চায় স্বাস্থ্য ভবন।

Swasthya Bhawan: সরকারি হাসপাতালের বাইরে কতক্ষণ? স্বাস্থ্য ভবনের নতুন অ্যাডভাইজারি ঘিরে শুরু তরজা
স্বাস্থ্য ভবন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2022 | 9:28 PM

কলকাতা: সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) কতক্ষণ কাজ করছেন তা জানতে চায় স্বাস্থ্য ভবন। এই মর্মে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত না মিললে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন (Swastha Bhawan)। এদিকে এই অ্যাডভাইজারি ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা থেকে শাসকদলের চিকিৎসক সাংসদের মন্তব্য, এরকম অ্যাডভাইজারি নতুন নয়, আগেও ছিল। অন্যদিকে চিকিৎসক নেতাদের একাংশ বলছেন, এরকম কেউ করলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের হাতে আছে। কিন্তু তার জন্য অ্যাডভাইজারির কারণ কী?

স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর কথায়, “আগেও ছিল। অ্যাডভাইজারি দিয়ে তাঁদের এই কথাটাই মনে করিয়ে দেওয়া হল।” অন্যদিকে সরকারি এই অ্যাডভাইজারি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, “সরকারি চিকিৎসকদের বরাবরই একটা সময় বেঁধে দেওয়া ছিল কতক্ষণ হাসপাতালে থাকতে হবে। চিকিৎসক কম। সিটও কম। দিল্লির থেকে আমাদের খুব কষ্ট করে সিটগুলো জোগাড় করে আনতে হয়। সুতরাং ডাক্তাররা যে পরিষেবাটা দিচ্ছেন সেই পরিষেবা কিন্তু সমাজের অন্য কোনও মানুষ রোগীকে দিতে পারবেন না। তবে ডাক্তাররা বাইরে প্র্যাকটিস কখন করবেন, কখন করবেন না তা বরাবরই নির্ধারিত করা ছিল। কারণ তাঁকে তো সরকারি পরিষেবাটা দিতে হবে। তাই নির্দেশিকা।”

তবে চিকিৎসক সংগঠনগুলির বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকায় এখন গ্রাম বাংলার মানুষ পরিচ্ছন্ন পরিষেবা পাওয়ার জন্য নার্সিংহোমে যাচ্ছেন। তার জন্য সরকারকে বিপুল টাকার বিল মেটাতে হচ্ছে। তাই ঘুরপথে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর নির্দেশিকার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ জারি করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে খরচের বহর কমাতে চাইছে রাজ্য।

এ বিষয়ে চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা বলেন, “যাঁরা প্র্যাক্টিস করেন তাঁরা কাজটা করেই প্র্যাক্টিস করেন। অল্প সংখ্যক এটা যদি করে সরকারের হাতে ক্ষমতা আছে তাদের শাস্তি দেওয়ার। তার জন্য নার্সিংহোমকে এমন অ্যাডভাইজারি দিতে হবে কেন? প্রতিটা চিকিৎসক যখন প্র্যাক্টিস করতে যাবেন তাঁকেই বা নো অবজেকশন চেয়ে নিয়ে যেতে হবে এরকম নিয়ম কোথাও কখনও দেখিনি।” যদিও স্বাস্থ্য অধিকর্তার এ নিয়ে বক্তব্য, স্বাধীন দেশে স্বাধীন কথা বলার অধিকার সকলেরই আছে।