Cattle Smuggling Case: ‘যে কাগজ চেয়েছিল জমা দিয়েছি’, ৮ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ

Kerim Khan: ওদিকে রাজধানীতে যখন লাফঝাঁপ তখন কলকাতাতে কেরিম খানকে নিয়ে তৎপর সিবিআই। এর আগেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেরিমকে।

Cattle Smuggling Case: 'যে কাগজ চেয়েছিল জমা দিয়েছি', ৮ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস থেকে  বেরোলেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ
নিজাম প্যালেসের বাইরে কেরিম খান।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2022 | 11:02 PM

কলকাতা: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আব্দুল কেরিম খানকে। তিনি বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। এদিন প্রায় আট ঘণ্টার কাছাকাছি সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরোনোর সময় কেরিম খান বলেন, “আমার কাছে একাধিক কাগজপত্র চেয়েছিল। আমি সেই নথিপত্র জমা দিতে এসেছিলাম। আমাকে কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি আজ।”

প্রশ্ন উঠছে শুধুমাত্র নথিপত্র জমা দিতেই আট ঘণ্টা সময় লেগে গেল অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এই নেতার? এদিন নিজাম প্যালেস থেকে বেরোনোর পর আরও একবার অনুব্রত-প্রশস্তি শোনা যায় কেরিম খানের গলায়। তিনি বলেন, “আমাদের নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেটা আবার নতুন করে কী বলার রয়েছে?” যদিও গরু পাচার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কিছু উত্তর না দিয়েই গাড়িতে উঠে পড়েন। বলতে থাকেন, “আমার কাছে চাওয়া যাবতীয় নথিপত্র আমি জমা দিয়ে দিয়েছি। এর থেকে বেশি কিছু আমি বলব না।”

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডল। সে ইডি হোক বা সিবিআই, অনুব্রতর বিরুদ্ধে কংক্রিট প্রমাণ জোগাড়ে একের পর এক কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে তলব করা হচ্ছে। কাউকে ডাকা হচ্ছে দিল্লিতে, কারও ডাক পড়ছে কলকাতায়। মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, প্রাক্তন ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি হোক বা কেরিম খান, ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যের মতো ‘ঘনিষ্ঠ’।

বৃহস্পতিবার সকাল সকাল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ছুটতে হয় ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজীবের একাধিক রাইস মিলে রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের বিষয়ও হাতে এসেছে। ২০২০ সালে অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের চিকিৎসার জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা দেন রাজীব। কেন তিনি কেষ্টর স্ত্রীর চিকিৎসায় টাকা দিলেন, সে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজীবকে। যদিও তাঁর বক্তব্য, ধার হিসাবে এই টাকা তিনি দেন। সে টাকা তিনি ফেরতও পাননি। একাধিকবার সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বীরভূমের বাড়িতেও গিয়েছে। এবার ইডির ঘরে ডাক পড়ে তাঁর।

ওদিকে রাজধানীতে যখন লাফঝাঁপ তখন কলকাতাতে কেরিম খানকে নিয়ে তৎপর সিবিআই। এর আগেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কেরিমকে। সিবিআই সূত্রে খবর, বীরভূমের নানুর গরু পাচারের একটা গুরুত্বপূর্ণ পথ। আর সেই পথ যাতে মসৃণ থাকে তা দেখভালের ভার ছিল এই কেরিমের উপর বলেই অভিযোগ। টাকা পয়সার বিপুল লেনদেনের অভিযোগও আছে। যদিও কেরিম বলেছেন, “সেটা সিবিআই প্রমাণ করবে।”