BJYM Rally: মাওবাদ, নকশালবাদ ও দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে মিছিল, যাদবপুরের ক্যাম্পাস দখলের অভিপ্রায় নেই: শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: এদিন যুব মোর্চার মিছিল ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কাতারে কাতারে বিজেপি ও যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা সামিল হয়েছেন র্যাগিং-বিরোধী এই মিছিলে। তবে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, যাদবপুরের ক্যাম্পাস দখলের কোনও অভিপ্রায় বিজেপির নেই।
কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। শুক্রবার জোড়া মিছিলের আয়োজন। প্রথমে এবিভিপির মিছিল। তারপর বিজেপির যুব মোর্চার মিছিল। গোলপার্ক থেকে এইট বি পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় যুব মোর্চা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাগিং-মুক্ত করার দাবিতে ও মাদক-মুক্ত করার দাবিতে এই মিছিলে পা মিলিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্বও। মিছিলে রয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ইন্দ্রনীল খাঁ, অগ্নিমিত্রা পল, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি-সহ আরও অনেক বিজেপি নেতা মিছিলে পা মিলিয়েছেন। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও মিছিলে থাকার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে বৈঠক থাকার কারণে তিনি এদিনের মিছিলে থাকতে পারেননি।
উল্লেখ্য, এর আগে এবিভিপির যে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল, সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। মিছিলে অংশগ্রহণকারী এবিভিপি সমর্থকদের আটক করে পুলিশ। সেই নিয়ে এদিন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা তাঁর সটান জবাব, ‘ভয়ে এসব করছে। কারণ, ওরা বুঝতে পারছে এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। পুলিশমন্ত্রীর ব্যর্থতা সামনে এসে যাবে, তাই গণতান্ত্রিক শক্তি ও বাকস্বাধীনতা হরণ করার জন্য এটি করা হয়েছে।’
এদিন যুব মোর্চার মিছিল ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কাতারে কাতারে বিজেপি ও যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা সামিল হয়েছেন র্যাগিং-বিরোধী এই মিছিলে। তবে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, যাদবপুরের ক্যাম্পাস দখলের কোনও অভিপ্রায় বিজেপির নেই। বললেন,’আমরা মিছিল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢোকার কোনও ইচ্ছা নেই। আমরা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে। মাওবাদ, নকশালবাদ ও দেশবিরোধী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। আমরা কোর্টের অনুমতি নিয়েই মিছিল করছি। দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের।’
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে র্যাগিং বিরোধী এই মিছিল ইতিমধ্যেই দক্ষিণাপনের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো পুলিশি ব্যবস্থাপনাও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। মিছিল ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের উপস্থিতি যথেষ্ট লক্ষণীয়।