Polling Day: ‘১২ জন মৃত এলেন, ভোটও দিলেন’; চোখে দেখা সেই অভিজ্ঞতা শোনালেন ভোট কর্মী

Election: সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের ওখানে কথা বলার কোনও অধিকারই ছিল না। সত্যি বলতে সকাল থেকে ট্রমার মধ্যে ছিলাম। আর ভোট আমাদের করাতেও হয়নি। ওনারাই সব করে নিয়েছিলেন।"

Polling Day: '১২ জন মৃত এলেন, ভোটও দিলেন'; চোখে দেখা সেই অভিজ্ঞতা শোনালেন ভোট কর্মী
ভোট কর্মী সৈকত চট্টোপাধ্যায়। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2023 | 8:21 PM

কলকাতা: ভোট এলেই ‘বেঁচে’ ওঠে, এমন বহু মৃতের খোঁজ মেলে প্রতি ভোটেই। এবারও তার অন্যথা হয়নি। ভোট করাতে গিয়ে তো রীতিমতো হতবাক ভোটকর্মী সৈকত চট্টোপাধ্যায়। নদিয়ার কল্যাণী ব্লকে সগুনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, ৫৫ নম্বর বুথে ডিউটি ছিল সৈকতবাবুর। তিনি সেকেন্ড পোলিং অফিসার ছিলেন সেখানে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন টিভি নাইন বাংলাকে। এও জানান, বুথে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকার কথা থাকলেও সেখানে তা কার্যকর ছিল না। বিরোধীদের পোলিং এজেন্টও কিছুক্ষণ থেকেই নমস্কার জানিয়ে চলে যান। এরপর কার্যত ‘অঘোষিত কার্ফু’ মোডে ভোট হয় ওই বুথে।

সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের ওখানে কথা বলার কোনও অধিকারই ছিল না। সত্যি বলতে সকাল থেকে ট্রমার মধ্যে ছিলাম। আর ভোট আমাদের করাতেও হয়নি। ওনারাই সব করে নিয়েছিলেন। আমার যে বুথে দায়িত্ব ছিল, সেখানে ভোটার তালিকায় যতদূর মনে পড়ছে সম্ভবত ১২ জন মৃত ভোটার। তাদের নাম কাটা হয়নি। দিনের পর দিন মৃত মানুষ ভোটের তালিকায় জীবিত হয়ে আছেন। এটা খুবই বেদনার। মৃত ভোটারদের ভোট ওখানকার নেতারা দিয়ে দিলেন। তাঁরা নিজেরাই সবটা করে নিলেন।”

সৈকতবাবুর দাবি, যাঁরা এই ভোটের তত্ত্বাবধানে ছিলেন, সকলেই শাসকদলের। কিন্তু তিনি কী করে বুঝলেন কার কোন দল? সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানান, নিজেরা বলেননি ঠিকই, তবে ওনাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, কোন দলকে জেতাতে মৃতদেরও ‘সঞ্জীবনী’ প্রদান।

সৈকতবাবু আরও বলেন, “ওখানে কিন্তু কোনও গুলি চলেনি, বোমা পড়েনি। শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনেই সবটা হয়েছে। অঘোষিত কার্ফু যেমন হয়। চুপচাপ ভোট হল। কিছুই করার ছিল না আমাদের। আমরা চুপচাপ সবই দেখলাম, সইলাম। বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ছিলেন। আধ ঘণ্টার মধ্যে নমস্কার জানিয়ে চলে গেলেন। তিনি ভয় পেয়ে চলে গেলেন নাকি গটআপ জানি না।”