Soma Das: সাতদিনের মধ্যে চাকরি দিতে হবে সোমা দাসকে, নির্দেশিকা স্কুল শিক্ষা দফতরের
SSC: নলহাটির সোমা দাস। দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্যের জন্য লড়াই করছেন তিনি। শরীরে কর্কটের থাবা তাঁকে ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু করেছে, কিন্তু সেই মারণ রোগ ছুঁতে পারেনি তাঁর অদম্য মনকে।
কলকাতা: নবান্নের পর এবার রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানাল, শিক্ষক পদে সাতদিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সোমা দাসকে। আচার্য সদনে এই মর্মে চিঠি গিয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের সইসম্বলিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে, চিঠি পাওয়ার সাতদিনের (কর্মদিবস) মধ্যে নিয়োগ করতে হবে ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসকে। নবান্নের নির্দেশ পাওয়ার পরই সোমা দাস জানান, তিনি চাকরি করবেন। যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের তরফে তাঁকে এই চাকরি গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। তবে একইসঙ্গে যাঁরা চাকরির জন্য এখনও গান্ধীমূর্তির নিচে বসে আন্দোলন করছেন, তাঁদের পাশে তিনি থাকবেন বলে জানান। সোমা দাস টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তাই এই চাকরি আমি নিচ্ছি। আমি আদালতের অবমাননা করতে পারব না। তবে চাকরি নেওয়ার পরও গান্ধীমূর্তির তলাতেই বসে থাকব আমি। মেধা তালিকায় শেষ যাঁর নাম রয়েছে, তাঁরও নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমার আন্দোলন চলবে।”
নলহাটির সোমা দাস। দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্যের জন্য লড়াই করছেন তিনি। শরীরে কর্কটের থাবা তাঁকে ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু করেছে, কিন্তু সেই মারণ রোগ ছুঁতে পারেনি তাঁর অদম্য মনকে। একবগ্গা মেয়ের লড়াই চলেছে এবং চলছে। সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতির হাত ধরে উঠে আসে সোমার নাম। সংবাদমাধ্যম তুলে ধরে, একজন ক্যানসার আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থী কীভাবে মাঠে ময়দানে বসে লড়ছেন ন্যায্য দাবিতে। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নজরে আসে।
আদালতে এসএসসি মামলার শুনানিপর্বে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সোমাকে অন্য কোনও সরকারি চাকরির প্রস্তাব দেন। যদিও সোমা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে বলেছিলেন, তিনি শিক্ষিকাই হতে চান। এরপরই হাইকোর্টের তরফে সোমা দাসের চাকরি নিয়ে নবান্নকে অনুরোধ জানানো হয়। নবান্নেও মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলমোহর পড়ে সোমার চাকরিতে। নির্দেশ যায় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরে। এবার সংশ্লিষ্ট দফতর জানিয়ে দিল সাতদিনের মধ্যে তাঁকে নিয়োগ করতে হবে।