West Bengal Assembly: প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ‘আচার্য’ মুখ্যমন্ত্রী, বিল পাশ বিধানসভায়

West Bengal University of Animal and Fishery Sciences: এই বিলে রাজ্য প্রাণী সম্পদ ও মৎস বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৬৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে এই বিলে।

West Bengal Assembly: প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়েও 'আচার্য' মুখ্যমন্ত্রী, বিল পাশ বিধানসভায়
বিল পাশ রাজ্য বিধানসভায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 15, 2022 | 6:38 PM

কলকাতা : রাজ্যের অধীনস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে মমতাকে বসানোর বিল ইতিমধ্যে পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এবার বুধবার বিধানসভায় পাশ হল পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল, ২০২২। এই বিলে রাজ্য প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৬৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে এই বিলে। বর্তমানে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রয়েছেন রাজ্যপাল। সংশোধনী বিলে, সেই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর কথা বলা হয়েছে। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়োগ করবেন আচার্য (মুখ্যমন্ত্রী)। রাজ্য সরকার গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশ করা তিন জনের নামের থেকে উপাচার্যকে বেছে নেবেন আচার্য।

এদিকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসাতে বিল প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা খোঁচা দিয়ে বলেন, “জর্জিয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফলস ডিগ্রি। তিনি হবেন আচার্য? আমরা মানি না। কেন ডক্টরেট ডিগ্রি লিখতে পারেন না উনি? আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করব, আপনার কাছে তিনটি অপশন আছে। বিলে সই করা। ফেরত পাঠানো। না হলে, কেন্দ্রকে পাঠানো। আমাদের সাজেশন, কেন্দ্রকে পাঠান। কোনওদিন এই বিল আর পাশ হবে না। যেমন বঙ্গ নামের বিল কোনওদিন পাশ হবে না। যেমন বিধান পরিষদের অবস্থা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, বিগত কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বদল করা নিয়ে শাসক শিবিরের এই প্রয়াস নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে এই বিলগুলি বিধানসভায় পাশ হলেও বাস্তবায়িত হওয়ার পথ শাসক দলের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক নাও হতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। কারণ, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে, বিলগুলি পাশ করিয়ে নিতে পারছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই বিল শেষ পর্যন্ত যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বিষয়টিতে অনুমোদন দিলে, তবেই সেটি বাস্তবায়িত হবে।