Justice Abhijit Gangopadhyay: যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের কারা সুরক্ষা দিতে চাইছেন? প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Justice Abhijit Gangopadhyay: বেআইনি নিয়োগে ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, এসএসসি-র সচিবের থেকে ফাইল তলব।

Justice Abhijit Gangopadhyay: যাঁরা বেআইনি নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের কারা সুরক্ষা দিতে চাইছেন? প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2022 | 9:27 PM

কলকাতা: এসএসএসির (SSC) ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ। ফের অসন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চাঁচাছোলা তোপের মুখে রাজ্য। বেআইনি নিয়োগ বরদাস্ত নয়। মুখপাত্র, মন্ত্রীরা বলছেন চাকরি যাবে না। সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা কেন? প্রশ্ন তুলছে হাইকোর্ট। ‘নির্লজ্জ আচরণ মন্ত্রীদের’, তোপ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিবের থেকে ফাইল তলব করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। 

যাঁরা বেআইনিভাবে সুপারিশে নিযুক্ত হয়েছিলেন তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য একটা সুপারনিউমেরারিক পোস্ট তৈরি করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল কমিশন। আবেদনপত্রে আদালতেও জানানো হয়েছিল সে কথা। কিন্তু, বর্তমানে বিচারপতির কাছে কমিশনের কাছে জানানো হয়েছে তাঁরা এই আবেদনপত্র ফেরত নিতে চান। সূত্রের খবর, যা শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ঘরে এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল  সৌম্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরির বিষয়টি কমিশনের মতামত। এটা কোনওভাবেই রাজ্য সরকারের অবস্থান নয়। তারপরই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয় তাঁরাও এই আবেদন আপাতত ফেরত নিতে চাইছেন। বুধবার সেই আবেদনপত্র ফেরত নেওয়ার দিন ছিল। বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন আপাতত আবেদনপত্র ফেরতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। 

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাফ দাবি, এটা কমিশন নয়, অন্য কারও মস্তিষ্কপ্রসূত সিদ্ধান্ত। কারণ বর্তমানে কমিশনের কর্তাদের ভাবমূর্তি আদালতের কাছে উজ্জ্বল। তাই তাঁরা এটা করতে চান না। পিছন থেকে কেউ এটা করিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের কারা সুরক্ষা দিতে চাইছেন? কেন সুরক্ষা দিতে চাইছেন? কারা নাড়ছেন কলকাঠি?  

বিচারপতির বক্তব্য, তিনি শুনেছেন মন্ত্রী, মুখপাত্ররা বিভিন্ন জায়গায় বলছেন কারও চাকরি যাবে না। একইসঙ্গে তিনি চাইছেন সচিব আসুন আদালতে। তিনি ফাইল দিন। কার নির্দেশে এটা করা হচ্ছে সেটা স্পষ্ট করা হোক। বিচারপতির এ মন্তব্য নিয়েই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। কেঁচো খুঁড়তে কী তবে কেউটে বের হবে? বিচারপতির এ মন্তব্যে সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে বলে মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ। ফাইল চালাচালির ক্ষেত্রে শাসকদলের কোনও নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে গেলে তা রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সুপারনিউমেরিক পোস্ট আদৌও থাকবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে। দু’জন বিচারপতি শুনছেন এই সংক্রান্ত মামলা।