Arpita-Partha Pet Dog: ‘অপা’ নেই, গত ১০ দিন ধরে কে দেখভাল করছে ৯ কুকুরের? কেমনই বা আছে ওরা?
Kolkata: জানা গিয়েছে, অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি ফ্ল্যাটে থাকা বন্দি হয়ে রয়েছে ন'টি প্রজাতির সারমেয়। পার্থ-অর্পিতার মতো তাদের জীবনও ছিল হাইপ্রোফাইলের।
কলকাতা: প্রায় এক সপ্তাহের বেশি হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে আপাতত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তবে মালিক-মালকিনের ‘ভুয়ো’ কীর্তিতে ওদের কী দোষ? ফ্ল্যাটবন্দি ঘরে জল নেই, খাবার নেই, আস্তে-আস্তে চিৎকারের জোরও হারাচ্ছে। কে শুনবে ওদের আর্তনাদ? কথা হচ্ছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি ফ্ল্যাটের নয় পোষ্যকে নিয়ে।
পার্থ-অর্পিতা ও কোটি-কোটি টাকার গল্পে মজে বাংলা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন ফ্ল্যাট ও বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ কোটিরও বেশি টাকা। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে গহনা। ইডি হেফাজত হোক বা জোকা ইএসআই হাসপাতাল, কেঁদে ভাসাচ্ছেন অর্পিতা। উদ্ধার হওয়া টাকা-পয়সার হিসেব সবাই পাচ্ছে তবে পোষ্যদের খবর কী?
জানা গিয়েছে, অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি ফ্ল্যাটে থাকা বন্দি হয়ে রয়েছে ন’টি প্রজাতির সারমেয়। পার্থ-অর্পিতার মতো তাদের জীবনও ছিল হাইপ্রোফাইলের।
কী কী পোষ্য রয়েছে?
পোষ্যদের তালিকায় রয়েছে রটওয়েলার, ইংলিশ বুলডগ, ফ্রেঞ্চ বুলডগ, পাগ, বিগল। রয়েছে দু’টি করে ল্যাব্রাডর, গোল্ডেন রিট্রিভার। সূত্রের খবর, সব ক’টি কুকুরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে কুকুরগুলি অর্পিতার দায়িত্বে ছিল। পার্থ এবং অর্পিতা ইডি হেফাজতে যাওয়ার পর থেকে ওই ফ্ল্যাটে বন্দি রয়েছে ৯টি পোষ্য। প্রশ্ন উঠছে তাদের কে দেখভাল করছে? আদৌ খেতে পাচ্ছে তো?
এরপর টিভি৯ বাংলা যোগাযোগ করে এক ডগ ট্রেনারের সঙ্গে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি দেখভাল করে। তাঁর দাবি আগামী পনেরো দিনের জন্য পর্যাপ্ত খাবার জল মজুত আছে। কুকুর প্রশিক্ষক অজয় বলেন, ‘ওরা ঠিকঠাক রয়েছে। কোনও অসুবিধা নেই। দেড়মাসের মতো খাবার রয়েছে। আর যা-যা জিনিস প্রয়োজন সবটা আছে।’
চিকিৎসকরা কিন্তু বলেছেন নিত্যদিনের প্রভুকে দেখতে না পেলে সারমেয়রা কিন্তু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারে। তাদের খাবার, জল, সঠিক সময়ে না এলে তারা একে অপরের সঙ্গে মারপিঠ করে খাওয়াখায়ি করতে পারে। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগে পড়েছেন পশু-প্রেমীরাই। যে কারণে এই সারমেয়দের সঠিক বাসস্থানে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে পশুপ্রেমীরা।
এক পশুপ্রমী বলেন, ‘বর্ষাকাল তো বহু কুকুর আছে বাজ পড়াকে ভয় পায়। হার্ট অ্যাটাক করেও মারা যায়। তখন তাদের কেয়ার নিতে হয়।’ নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে শ্রীঘরে পার্থ-অর্পিতা। তবে ওদের কী দোষ?