Bowbazar: ২০১৯-এ ঘর ছাড়তে হয়েছিল, আজও ফেরা হয়নি তাঁদের
Bowbazar: ২০১৯ -এও একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল। বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল অনেককেই।
কলকাতা : রাতের ঘুমতে যাওয়ার আগেও হয়ত অনেকে ভাবেননি শুক্রবার ভোরে ঘুম ভেঙেই এমন দৃশ্য দেখতে হবে। দেওয়ালে, ছাদে ফাটল দেখে তড়িঘড়ি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে অনেককে। আপাতত হোটেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে মেট্রোর তরফে। তবে, কবে আবার ভিটেয় ফেরা হবে, তা জানা নেই। ২০১৯-এও একই ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে বউবাজার অঞ্চলকে। সেই সময়ও অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই বাড়ির বাসিন্দারাও আজও ঘরছাড়া।
২০১৯ -এ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির বাসিন্দাদের কাঁকুড়গাছিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরই আজও সেখানেই রয়েছেন তাঁরা। অনেকেরই ব্যবসা রয়েছে বউবাজারে। তাই সেখান থেকে নিত্য যাতায়াত করে ব্যবসার কাজ সামলাতে অসুবিধাই হয়। শুক্রবার এই ঘটনার পর এমনই এক বাসিন্দা জানান, তাঁর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ছে আবারও। কবে বাড়ি ফেরা হবে, জানেন না তাঁরা।
সূত্রের খবর, ওই সব জায়গায় বাড়ি মেরামত করতেই পারছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর কাজই বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। তাই কাঁকুড়গাছিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ফেরা এখনও অনিশ্চিত। আর শুক্রবারের ঘটনার পর ওই বাসিন্দা জানান, আতঙ্ক আরও বেড়ে গেল। আদৌ ফেরা হবে কি না, সেটাই বুঝে পারছেন না তাঁরা।
সেই সময় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই টাকা পেয়েও গিয়েছেন তাঁরা। এবারও ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে, এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত মে মাসে যে সব বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছিল, সেই সব পরিবারের অনেকে এখনও পাননি ক্ষতিপূরণের টাকা।