হাওয়া অফিস বলছে বিগত ১২২ বছরের মধ্যে উষ্ণতম বছরের তালিকায় পাঁচ নম্বরে ঠাঁই করে নিয়েছে ২০২২। উষ্ণতম বড়দিনের সাক্ষীও ছিল গোটা বাংলা। এদিকে নববর্ষের শুরু থেকেই শীতের (Winter) দাপট ক্রমেই বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে (North Bengal)।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু বঙ্গবাসী। তবে সপ্তাহান্তে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। তবে কনকনে ঠান্ডার দাপট কমেনি। মাঝেমধ্যেই বইছে উত্তরে হাওয়া। যে কারণে আগামী কয়েকদিন শীতের দাপট থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস (Weather Office)।
রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫০ থেকে ৯১ শতাংশ। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.১ ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে বলে জানাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা।
দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে পুরুলিয়া থেকে নদিয়া, বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদ সব জেলাতেই বেড়েছে শীতের কামড়। কনকনে শীতে কাবু উত্তরবঙ্গও। এদিকে বছরের শুরুতেই শহরের তাপমাত্রার পারাপাতন ১০ ডিগ্রির কাঁটা ছুঁয়ে ফেলেছিল। ভেঙেছিল গত ৫ বছরের রেকর্ড। হাওয়া অফিসের কর্তারা বলছেন আগামী কয়েকদিন সেই দাপট দেখা গেলেও শীতের কামড় অব্যাহত থাকবে।
পারাপতন চলবে আরও কমপক্ষে তিনদিন। তারপর তামপাত্রা কিছুটা বেড়ে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আগামী দুদিন রাজ্যের প্রায় সব জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় সকালের দিকে বেশি কুয়াশার দেখা মিলবে উত্তরবঙ্গে।
রেকর্ড পারাপতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে। শনিবার এখানের পারাপতন হারিয়ে দিয়েছিল শৈল্য শহর দার্জিলিংকেও। কারণ পুন্ডিবাড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রির আশেপাশে।
একই চিত্র দেখা যাচ্ছে রবিবারেও। এদিন দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির কাছেই রয়েছে। রায়গঞ্জও রয়েছে সাতেই। সহজ কথায় পারাপতনের নিরিখে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ঘেরা এলাকাগুলিকেও জোর টক্কর দিচ্ছে সমতল এলাকাগুলিও।