SSKM: HIV পজিটিভ, না জানিয়েই এসএসকেএমে ভর্তি যুবক! ‘পেপ’ নিলেন ৫ চিকিৎসক
HIV Positive: এক্ষেত্রে রোগীর সহযোগিতাও কাম্য বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তা না হলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদ ডেকে আনা হবে। পাশাপাশি তাঁরা যাঁদের চিকিৎসা করবেন, সেই সমস্ত রোগীরও বিপদ ডেকে আনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কলকাতা: রোগীর অসচেতনতার মাসুল গুনলেন চিকিৎসকেরা? পথদুর্ঘটনায় আহত এক যুবক এইচআইভি আক্রান্ত। এইচআইভির তথ্য গোপন করে ট্রমা কেয়ারে তিনি ভর্তি হন বলে অভিযোগ। ভর্তির ২৪ ঘণ্টা পর রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে রোগী এইচআইভি পজিটিভ। ভর্তির ২৪ ঘণ্টা পর রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে রোগী এইচআইভি পজিটিভ। এইচআইভি তথ্য গোপনে বিপাকে চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে দুই ইন্টার্ন-সহ মোট পাঁচ জন চিকিৎসকের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা। এই পাঁচ চিকিৎসককে পোস্ট এক্সপোজার প্রোফাইল অ্যাক্সিস বা পেপ দেওয়া হয়েছে।
এইচআইভি আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সবসময়ই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। চিকিৎসায় সম্মানরক্ষার যে অধিকার, তা বজায় রাখা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে রোগীর সহযোগিতাও কাম্য বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তা না হলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদ ডেকে আনা হবে। পাশাপাশি তাঁরা যাঁদের চিকিৎসা করবেন, সেই সমস্ত রোগীরও বিপদ ডেকে আনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
গত ২২ জুলাই পথদুর্ঘটনায় আহত এই রোগীকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করানো হয়। পরদিন ২৩ জুলাই রক্তপরীক্ষায় এইচআইভি ধরা পড়ে। ২৪ বছরের যুবককে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি এইচআইভি পজিটিভ জানতেন কি না, তখন রোগী বলেন, ‘হ্যাঁ’। তিনি এই রোগের চিকিৎসাও করাচ্ছেন। আর এখানেই সচেতনতার অভাব বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে এসএসকেএমের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান গৌতম গুহর কথায়, “আসলে অনেকেরই একটা ভীতি আছে এইচআইভির কথা জেনে গেলে তিনি সামাজিকভাবে অচ্ছুত হয়ে পড়বেন। এর আগেও এরকম দেখেছি। তাঁরা জানেন, চিকিৎসা চলছে, কিন্তু সময়মতো বলেন না। অস্ত্রোপচারের সময় যদিও আমরা রুটিনমাফিক সমস্ত পরীক্ষা করিয়ে নিই। কেউ পজিটিভ হলে, প্রশ্ন করলে বলেন জানতাম। অথচ সরকারি হাসপাতালে আমরা যথেষ্ট গোপনীয়তা রক্ষা করি। স্বাস্থ্যকর্মীদের জানানো থাকে যাতে সতর্ক থাকেন।”
যে রোগী এইচআইভির কথা গোপন করে ট্রমা কেয়ারে আসেন, সেই রোগীও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের আওতায় আছেন। চিকিৎসক গৌতম গুহ জানান, রোগীদের ডাক্তারকে এটা জানানো উচিত। ঠিকমতো চিকিৎসা হলে অনেকেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। অথচ অসতর্কতার জন্য ছড়াচ্ছে এই রোগ। চিকিৎসক গৌতম গুহ জানান, এই মুহূর্তে ভারত এইচআইভিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ দেশ।