Artificial rain: দূষণ মোকাবিলায় এবার দিল্লিতে নামানো হবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত
Delhi pollution: দূষণ মোকাবিলায় কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর বিষয়টি নিয়ে গত ৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছে আইআইটি কানপুর। গত জুলাই মাসে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরীক্ষাও সফল হয়েছে বলে সংস্থার দাবি। এবার দূষণে জর্জরিত দিল্লি ও সংলগ্ন এনসিআর অঞ্চলে কৃত্রিম বৃষ্টি নামাতে উদ্যত হয়েছে সংস্থা।
নয়া দিল্লি: বায়ু দূষণে জেরবার রাজধানী। দিল্লির দূষণ (Delhi pollution) ঠেকাতে আগেই কৃত্রিম বৃষ্টি (Artificial rain) নামানোর প্রস্তাব দিয়েছিল আইআইটি কানপুর। এই বিষয়টি নিয়ে এই সংস্থার গবেষকরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। অবশেষে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতে চলেছে কেজরীবাল সরকার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কালীপুজোর পরই কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হতে পারে বলে জানালেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই (Gopal Rai)। এই বিষয়টি নিয়ে বুধবার IIT কানপুরের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও করেছেন তিনি।
দিল্লির দূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টি নিয়ে এদিন আইআইটি কানপুরের গবেষকদের সঙ্গে বৈঠক পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। সেই বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, দূষণ-পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেঘ পাঠিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর সম্ভাবনা নিয়ে আইআইটি কানপুর টিমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রস্তাবটি আইআইটি কানপুর প্রথম দিয়েছিল। আগামিকাল তারা এই প্রস্তাবটি সরকারের কাছে পাঠাবে। যদি আমরা আগামিকাল প্রস্তাবটি গ্রহণ করি তাহলে সেটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হবে।
কৃত্রিম বৃষ্টি কবে পাঠানো হবে, তার দিনক্ষণ একপ্রকার স্থির করা হয়েছে। গোপাল রাই বলেন, ২০-২১ নভেম্বর দিল্লিতে মেঘলা হতে পারে আইআইটি কানপুরের অনুমান। সেটা বিবেচনা করেই আমরা তাদের বলেছি, আগামিকাল প্রস্তাবটি পাঠাতে এবং তারপর সেটা আদালতে পেশ করা হবে। যদি ২০-২১ নভেম্বর মেঘলা হয় এবং সমস্ত অনুমতি মেলে তাহলে সেদিনই পাইলট সেটি সম্পন্ন করবেন।
দূষণ মোকাবিলায় কৃত্রিম মেঘ তৈরি করে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর বিষয়টি নিয়ে গত ৫ বছর ধরে কাজ করে চলেছে আইআইটি কানপুর। গত জুলাই মাসে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরীক্ষাও সফল হয়েছে বলে সংস্থার দাবি। এবার দূষণে জর্জরিত দিল্লি ও সংলগ্ন এনসিআর অঞ্চলে কৃত্রিম বৃষ্টি নামাতে উদ্যত হয়েছে সংস্থা। এই বিষয়ে ডিজিসিএ-র অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলেও আইআইটি কানপুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি-র থেকেও অনুমোদন নিতে হবে। তবে কৃত্রিম বৃষ্টি সাময়িকভাবে বায়ু দূষণ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে বলে জানিয়েছেন আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল।