বন্ধ স্কুল, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রোধে পথে-প্রচারে শিক্ষকরা, বিনামূল্যে বিতরণ করলেন মাস্ক, স্যানিটাইজার
সকলের কথা ভেবেই তাই ট্যাবলো চড়ে প্রচারে নামলেন শিক্ষকরা। গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রোজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত, রাস্তা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা নিয়ে সচেতন করে মাস্ক স্যানিটাইজার বিলি করা শুরু করেছেন তাঁরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ স্কুল (School)। ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছনোর একটাই মাধ্যম অনলাইন ক্লাস। তাতেও বিস্তর সমস্যা। অন্যদিকে, চড়চড়িয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। কিন্তু, সচেতন নয় মানুষ। মারণভাইরাসকে অবহেলা করছেন অনেকেই। এই অবস্থায়, করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারে রায়দিঘির (Raidighi) পথে নামলেন মথুরাপুর সার্কেলের কয়েকজন প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teachers)। বিনামূল্যে বিতরণ করলেন মাস্ক স্যানিটাইজার।
করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হলেও সুন্দরবনের প্রত্যন্ত রায়দিঘির গ্রামে এর কোনও প্রভাবই যেন ফেলেনি। সতর্ক হয়নি মানুষ। বন্ধ স্কুল, দেখা নেই পড়ুয়াদেরও। সকলের কথা ভেবেই তাই ট্যাবলো চড়ে প্রচারে নামলেন শিক্ষকরা। গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রোজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত, রাস্তা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা নিয়ে সচেতন করে মাস্ক (Mask) স্যানিটাইজার (Sanitizer) বিলি করা শুরু করেছেন তাঁরা। মথুরাপুরের শিক্ষকদের এই সাধু উদ্যোগের কথা জানতে পেরে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ান আরও ২০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। নিজেরাই চাঁদা দিয়ে মাস্ক স্যানিটাইজার কিনে নিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে গ্রামের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছেন এই শিক্ষকমণ্ডলী। কোভিড প্রোটোকল মেনেই ফেস্টুন-ব্যানারে মাইকিং করে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রকাশিত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন। এই সময়পর্বে রাজ্যে একদিনে করোনায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাযুদ্ধ জয় করেছেন ১৮ হাজার ২৪৩ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনাকে জয় করা রাজ্যবাসীর শতকরা হার ৮৫.৮৯ শতাংশ।