West Bengal Polls: ২১৩-কে ২১৫ করতে পারবে তৃণমূল? ভোরের আলো ফুটলেই ভোট-পরীক্ষা ৩ বিধানসভার

West Bengal Polls: বিধানসভার ফলপ্রকাশের পর তৃণমূলের নামের পাশে আসন সংখ্যা ছিল ২১৩। সেই সংখ্যাকে ২১৫ করে নেওয়ার সুযোগ আগামিকাল পাচ্ছে এ রাজ্যের শাসকদল।

West Bengal Polls: ২১৩-কে ২১৫ করতে পারবে তৃণমূল? ভোরের আলো ফুটলেই ভোট-পরীক্ষা ৩ বিধানসভার
টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে তিন কেন্দ্রে ভোটের সাক্ষী থাকবে বাংলা। প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 11:52 PM

কলকাতা: গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর তৃণমূলের নামের পাশে আসন সংখ্যা ছিল ২১৩। সেই সংখ্যাকে ২১৫ করে নেওয়ার সুযোগ আগামিকাল পাচ্ছে এ রাজ্যের শাসকদল। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আগামী ৫ বছর নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ নিশ্চিত করতে মরিয়া। ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhabanipur By Election), এবং মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ (Samsergunj Assembly Election) ও জঙ্গিপুরে (Jangipur Assembly Election) বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাত পোহালেই। ফলে আবারও একবার টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে তিন কেন্দ্রে ভোটের সাক্ষী থাকবে বাংলা।

নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। তাই নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে একটি বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হবে। সেই মতো ভবানীপুরে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আসনটি দলনেত্রীর জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে, জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে নির্বাচনের আগেই সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় সেখানকার ভোট স্থগিত রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। তাই সেই দুই কেন্দ্রে নিয়ম মেনে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র

একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের শোভনদেবের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে লড়েছিলেন অভিনেতা থেকে রাজনেতা হওয়া রুদ্রনীল ঘোষ। কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন শাদাব খান। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন শোভনদেব।

মোট ৮ ওয়ার্ডের এই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষের কিছু বেশি। উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির যুবা নেত্রী তথা পেশায় আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কংগ্রেস এ বার প্রার্থী দেয়নি। তাই সিপিএম আরেক যুব নেতা এবং পেশায় আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে নামিয়েছে ভোট ময়দানে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লড়াইটা দ্বিমুখী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

যেহেতু এই কেন্দ্রের দিকেই সর্বভারতীয় রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে, তাই ভবানীপুরকে কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে প্রশাসন। কেবলমাত্র একটি কেন্দ্রের জন্য বেনজিরভাবে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীর ব্যবস্থা করেছে কমিশন। সকাল থেকেই গোটা রাজ্যের চোখ যে এই একটি কেন্দ্রেই আটকে থাকবে, তা চোখ বন্ধ করেই বলা যায়।

সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র

বিধানসভা নির্বাচন তখন মধ্যগগনে। সেই সঙ্গে রাজ্যে করোনার সংক্রমণও বাড়ছে হু-হু করে। শেষ দফায় ভোট হওয়ার কথা ছিল মুর্শিদাবাদে। কিন্তু ১৫ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক। নির্বাচন স্থগিত করে দেয় কমিশন।

সেই কেন্দ্রে আগামিকাল নির্বাচন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম। তাঁর বিপরীতে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে জইদুর রহমানকে। সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন মোদ্দাসার হোসেন। অন্যদিকে বিজেপি মিলন ঘোষকে প্রার্থী করেছে। এই কেন্দ্রে মোট বুথ সংখ্যা ৩২৯। ভোটার প্রায় তিন লক্ষ ৩৫ হাজার। মোট ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এই কেন্দ্রের জন্য মোতায়েন করেছে কমিশন। ২০১৬ সালের বিধানসভায় এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন আমিরুল ইসলামই।

জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্র

ঠিক যেদিন রেজাউল হকের মৃত্যু হয়, তার পর দিনই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান জঙ্গিপুর কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী। কাজেই সেখানেও নির্বাচন স্থগিত করতে হয় কমিশনকে। এ বারও সেই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে আরএসপি-ই।

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। আরএসপি প্রার্থী করেছে জানে আলম মিঞাঁকে। এবং বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন সুজিত দাস। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে মোট ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার জন্য থাকছে। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা আড়াই লক্ষের কিছু বেশি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ২০ হাজার ভোটে সিপিআই প্রার্থী সোমনাথ সিংহ রায়কে পরাজিত করেছিলেন জাকির হোসেন।

আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury: ‘মমতা বিজেপির ট্রয়ের ঘোড়া, ওঁকে বিরোধী জোট থেকে দূরে রাখতে হবে’