Bidhannagar Municipal Election 2022: সঙ্গী মাত্র ২! পুঙ্খানুপুঙ্খ করোনাবিধি মেনে ভোটপ্রচার দেবাশিসের
BJP Candidate: পুরভোটমুখী বঙ্গে যখন করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ভিড় করে জনসংযোগে ব্যস্ত, তখন অন্য বার্তা দিলেন বিধাননগর পৌরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এই বিজেপি প্রার্থী।
বিধাননগর: হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। সঙ্গী মাত্র দু’জন। তাই নিয়ে ভোট প্রচারে বেরলেন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) দেবাশিস জানা (Debashish Jana)। পুরভোটমুখী বঙ্গে যখন করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ভিড় করে জনসংযোগে ব্যস্ত, তখন অন্য বার্তা দিলেন বিধাননগর পৌরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এই বিজেপি প্রার্থী।
প্রার্থীর সঙ্গী মাত্র দু’জন। সবার মুখেই মাস্ক অটুট। তাঁরা বেরিয়েছেন রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে। সঙ্গে নেই আর কোনও কর্মী-সমর্থক। এই দু’জনকে নিয়েই ভোট প্রচার করলেন দেবাশিসবাবু।
এবার বিধাননগর পৌরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন দেবাশিস জানা। এদিকে রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। বিধাননগরের একাধিক জায়গায় হয়েছে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জ়োন। কমিশনের তরফে প্রার্থীদের বলা হচ্ছে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে। তাছাড়া বাড়ি বাড়ি প্রচারে গেলে যেন ন্যূনতম সংখ্যক কর্মী নিয়ে যান, দূরত্ববিধি বজায় থাকে সে ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে বলা হচ্ছে।
যদিও বেশির ভাগ প্রার্থীদের ভোট প্রচারে এর বিপরীত ছবিটাই বেশি নজরে এসেছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দেবাশিসবাবুর এই পদক্ষেপ সাধুবাদযোগ্য। করোনা বিধি মেনে দলীয় পতাকা না নিয়ে শুধুমাত্র দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেক বিই ব্লকে বাড়ি বাড়ি প্রচার সারেন তিনি। ভোটারদের হাতে একটি করে লিফলেট তুলে দেন। যেখানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি এবং অবশ্যি প্রার্থী হিসাবে তাঁর। স্বল্পবাক্যে বলছেন, সকাল-সকাল ভোটটা দেবেন। ব্যাস ওইটুকুই।
বিজেপি প্রার্থীর কথায়, “অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। বার্তা একটাই, আমাকে ২৪ ঘণ্টা পাবেন। যে পরিষেবা পাননি, সব পাবেন”। তাাঁর এই ভোট প্রচার নিয়ে দেবাশিসবাবুর মন্তব্য, “ও পতাকা টতাকা নিয়ে বেরোই না। আমার লিফলেটেই তো সব আছে। বাড়তি কিছুই রাখিনি। আর লিফলেটে মোদীর ছবি আছে। মোদী সিম্বোলাইজ়েস বিজেপি”। তিনি আরও যোগ করেন, “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হলে আমি জিতবই”।
আরও পড়ুন: Kolkata Bus: করোনা হানায় একে একে ‘উধাও’ হয়ে যাচ্ছে কলকাতার বাস! নাজেহাল যাত্রীরা