Gyanvapi case: শুনানি স্থগিত ৩০ মে পর্যন্ত, আদালতে কী বলল মুসলিম পক্ষ?

Gyanvapi Mosque Row: ৩০ মে পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হল জ্ঞানব্যাপী মসজিদ বিতর্ক মামলার শুনানি।

Gyanvapi case: শুনানি স্থগিত ৩০ মে পর্যন্ত, আদালতে কী বলল মুসলিম পক্ষ?
আজও দেওয়া হল না এই বিতর্কিত মামলার রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 7:09 PM

বারাণসী: ৩০ মে পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হল জ্ঞানব্যাপ মসজিদ বিতর্ক মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার বারাণসী জেলা আদালতে, মুসলিম পক্ষের করা আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। জ্ঞানব্যাপি মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফিক সমীক্ষা অবৈধ দাবি করে সমীক্ষা রিপোর্ট খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিল মুসলিম পক্ষ। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন জানিয়েছেন, এদিন আদালতে মুসলিম পক্ষের যুক্তি শোনা শুরু হয়। তবে, এদিন সময়ের অভাবে শুনানি শেষ করা যায়নি। আগামী সোমবার, ৩০ মে বেলা ২টোয় ফের এই মামলার শুনানি শুরু হবে।

গত সপ্তাহে বারাণসীর এক নিম্ন আদালতে জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী দাবি করেছিলেন সমীক্ষায় মসজিদের ওজুখানায় একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। তবে, মুসলিম পক্ষের পাল্টা দাবি ছিল ওটি শিবলিঙ্গ নয়, একটি ফোয়ারা। এদিন আদালতে মসজিদ কমিটি বলেছে, ‘মসজিদ চত্বরে শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব এখনও প্রমাণিত নয়। এই নিয়ে গুজবের কারণে জন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। যতক্ষণ না অস্তিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ এই গুজব ছড়ানো বন্ধ হওয়া উচিত।’ অন্যদিকে, হিন্দু পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, মুসলিম পক্ষ এদিন শুধু হিন্দুপক্ষের আবেদনের অনুচ্ছেদগুলি পড়েছে। তারা দাবি করেছে, মামলাটি রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয়। হিন্দু পক্ষ এর বিরোধিতা করেছে। আদালতকে তারা বলেছে এই মামলা করার নির্দিষ্ট অধিকার রয়েছে তাদের।

বারাণসীর এক নিম্ন আদালত থেকে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ চত্ত্বরে ভিডিয়োগ্রাফিক সমীক্ষার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মসজিদ কমিটি। তারা বলেছিল, জ্ঞানব্যাপী মসজিদে সমীক্ষা চালানো এবং যে আবেদনের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা হচ্ছে সেই আবেদনটিও অবৈধ। তাই এই মামলার শুনানি এবং সমীক্ষার কাজ স্থগিত রাখা উচিত। গত শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানি নিম্ন আদালত থেকে বারাণসী জেলা আদালতে হস্তান্তরিত করেছিল। ওই সময়ই শীর্ষ আদালত বলেছিল, মামলাটির ‘মেইনটেইনিবিলিটি’ কে চ্যালেঞ্জ করে মুসলিম পক্ষ যে আবেদন করেছে, সেই আবেদনের শুনানিই বারাণসী জেলা আদালতের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

গত ২৪ মে, মুসলিম পক্ষ বারাণসী জেলা আদালতে ওই সুপ্রিম নির্দেশের কথা উল্লেখ করে তাঁদের আবেদনটির শুনানি আগে করার অনুমতি চেয়েছিলেন। হিন্দু পক্ষ জানিয়েছিল, মুসলিম পক্ষের আবেদনের কিছু বিষয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। তবে, সেগুলি আদালতে জানানোর জন্য তাদের আরও কিছু নথি খতিয়ে দেখতে হবে। তাই, আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাতেই শুনানি দুদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।