Hanskhali Physical Assault Case: ‘শাসকের মুষল পর্ব চলছে’, হাঁসখালির ঘটনায় সরব বিরোধীরা

Hanskhali Physical Assault Case: হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের শনিবার রাতে।তারপরই আটক করা হয় অভিযুক্তকে। তবে তার বাবা পলাতক। পরে জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এই নিয়ে চরম রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

Hanskhali Physical Assault Case: 'শাসকের মুষল পর্ব চলছে', হাঁসখালির ঘটনায় সরব বিরোধীরা
হাঁসখালির ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 10, 2022 | 3:14 PM

নদিয়া: মেটিয়া ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই হাঁসখালির ঘটনা। বন্ধুর বার্থ ডে পার্টিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ। পরে অসুস্থ নাবালিকাকে বাড়িতে ফেলে চম্পট। রাতেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। পরে দেহও জোর জবরদস্তি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বিস্ফোরক অভিযোগ খোদ তৃণমূল নেতারই ছেলের বিরুদ্ধে। গত সোমবারের ঘটনা। চারদিন পর হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের হল শনিবার রাতে। তারপরই আটক করা হয় অভিযুক্তকে। তবে তার বাবা পলাতক। পরে জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এই নিয়ে চরম রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।

সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার বলেন,”নাবালিকা মেয়ের ওপর এমন নিষ্ঠুর অত্যাচার এর আগেও ঘটেছে। এখনও ঘটছে। আমি তীব্র নিন্দা করতে গিয়েও ভাবছি, নিন্দা করেই কি শুধু হবে? ধিক্কার জানাই। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কোন পর্যায়ে সেটা প্রশ্ন। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, পুলিশ কেন পদক্ষেপ করে না?”

হাতে টাটকা ইস্যু। আর তা নিয়ে সরব প্রতিপক্ষও। বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কী যে বলব বুঝতে পারছি না। এবার তো রাজ্যের নাম পাল্টে দিতে হবে। ধর্ষণ, গোলা-বন্দুক-খুন-বঙ্গ, এরকম করে দিলে হয় একটা। বাংলার মানুষকে কতটা হতাশাগ্রস্ত করে তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেটা বলতে পারছি না।”

বিজেপি বিধায়ক আশিস বিশ্বাস বলেন, “ভয় দেখানো হয়েছে। মুখ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। রাজ্যে শাসন ব্যবস্থা নেই। কোনওরকমভাবে সরকার আইন শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে না।”  কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “ধর্ষণের ঘটনা নিত্য ঘটছে। শাস্তি হচ্ছে কই। এখন পরিবারের সদস্যদের কাউকে চাকরি দেবে, ভয় দেখাবে। এটাই হবে। শাসকদলের অভ্যন্তরে এখন মুষলপর্ব চলছে।”

গত সোমবার এলাকার এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। পুলিশের কাছে দেওয়া নির্যাতিতার পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, বিকাল চারটে নাগাদ বন্ধুর বাড়িতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। তারপর সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এক মহিলার সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসে ওই নাবালিকা। নাবালিকার মায়ের কথায়, “একটা মেয়ে আর দুটো ছেলে এসেছিল আমাকে মেয়েকে দিতে। বলল, ওর নাকি মাথা ঘুরিয়ে গিয়েছে। ডাক্তার দেখাতে। তবে প্রাইভেটে ডাক্তার দেখাতে বলেছিল।” স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নাবালিকাকে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। রাতেই মৃত্যু।

এরপর ‘পাড়ার ছেলেরাই’ রাতে জোরজবরদস্তি দেহ সৎকার করে বলে অভিযোগ। বাড়ির অদূরেই শ্মশানে দেহ দাহ করতে প্রয়োজন পড়েনি কোনও ডেথ সার্টিফিকেটেরও। এমনিকে আগুন নিভিয়ে সাফ ফেলা হয় ছাইও।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে এক গুচ্ছ প্রশ্ন। আপাতত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দলের নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কল্লোল খাঁ বলেন, “আমি এই মুহূর্তে কলকাতায় আছি। আমার পক্ষে এখনই সবটা বলা সম্ভব নয়। যদি ঘটনা সত্য, আইন আইনের পথে চলবে। ওখানকার সভাপতি রত্না ঘোষ করের কাছে গোটা বিষয়টির রিপোর্ট চেয়েছি। তাঁকে খোঁজ খবর করতে বলেছি। স্থানীয় ব্লক সভাপতিকেও খোঁজ নিতে বলেছি। অভিযোগ সত্য হলে দল তার ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। সবটা ওর ব্যাপারে জানি না।”

আরও পড়ুন: ‘বার্থ ডে পার্টি’তে ডেকে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’, মৃত্যুর পর চাপের মুখে দেহ ‘দাহ’, কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতার ছেলে

আরও পড়ুন: TMC Party Office: তৃণমূলের পার্টি অফিসে ‘মেয়ে নিয়ে আড্ডা, মদ-জুয়ার আসর’, বিস্ফোরক দলেরই কাউন্সিলর