Katwa: কমছে সংখ্য়া! গাঙ্গেয় শুশুক বাঁচাতে প্রচার শুরু

Katwa News: এলাকার মৎসজীবীদের সতর্ক কর‍তে এই ধরণের প্রচার চলবে বলেও জানানো হয়েছে প্রাসনের তরফে।

Katwa: কমছে সংখ্য়া! গাঙ্গেয় শুশুক বাঁচাতে প্রচার শুরু
শুশুক বাঁচাতে সচেতনতা জারি প্রশাসনের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 4:34 PM

কাটোয়া: আগে গঙ্গা ঘাটে গেলেই দেখা মিলত গাঙ্গেয় শুশুক বা ডলফিনের। কিন্তু এখন প্রায় দেখা মেলে না বললেই চলে। ক্রমশ কমে আসছে এদের সংখ্যা। সেই কারণে গাঙ্গেয় শুশুক বা ডলফিন বাঁচাতে নদীতে বোট নামিয়ে প্রচার শুরু করল বনদপ্তর। কাটোয়ার শাঁখাইফেরি ঘাট এলাকায় অজয় ও ভাগীরথী নদীতে ডলফিন বাঁচাতে সচেতনতা মূলক প্রচার করল তারা। এলাকার মৎসজীবীদের সতর্ক কর‍তে এই ধরণের প্রচার চলবে বলেও জানানো হয়েছে প্রাসনের তরফে।

বনদপ্তরের আধিকারিক সুকান্ত ওঝা বলেন, “এখন বর্ষাকাল। এই সময়টা শুশুকদের প্রজনন সময়। তাই এই সময় শুশুক ধরলে বংশবৃদ্ধিতে সমস্যা হয়।” তাঁর কথায় নদীর বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় এই ধরনের প্রচার শুরু করা হয়েছে। অনেক সময় মৎসজীবীদের জালে ডলফিন আটকে গিয়ে প্রাণ হারায়। এছাড়াও অনেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ডলফিন মেরে ফেলা হয়। এই ধরনের কাজ যাতে বন্ধ করা হয় সেই কারণেই এই প্রচার।

মাস দু’য়েক আগে দু’টি মৃত শুশুক উদ্ধার হয়। ভাগীরথী নদীর পাড়ে বনদপ্তরের তরফে উদ্ধার হয় শুশুক দু’টি। কোনও ভাবে আঘাত লেগে ডলফিনগুলির মৃত্যু হয়েছিল বলে জানায় বনদপ্তর।

শুশুক বাঁচানোর প্রচারে সকলেই খুশি। কাটোয়ার পুরপ্রশাসক সমীর সাহা বলেন, ” শুশুক বাঁচাতে এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।” বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসার সুকান্ত ওঝা বলেন, “কাটোয়ায় অজয় ভাগীরথীর সংযোগস্থলে শুশুকের নিরাপদ বাসস্থান। এই এলাকাকে বলা হয় ডলফিন বা শুশুক পয়েন্ট। এই সময় শুশুকের নেটিং সিজন। এখানে প্রচুর মাছ থাকায় শুশুকের দল ডেরা বাঁধে। তাই এই সময় শুশুক না ধরাই ভালো। এখন থেকে এই ধরনের প্রচার প্রতিদিনই চলবে।” পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, শুশুকগুলি হয় আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে অথবা জালে জাড়িয়ে মারা যাচ্ছে।

রাজ্য সরকারের বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ২০২০ সালের জুলাই মাসে কাটোয়ায় নদীতে ডলফিন সংরক্ষণ কেন্দ্রের সূচনা করা হয়। জানা গিয়েছে কাটোয়ার নদী মোহনায় ১১৭ গাঙ্গেয় শুশুক আছে। এই শুশুকগুলিকে বাঁচাতেই প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শুধু এই রাজ্যে নয় একাধিক ভিন রাজ্যেও সংরক্ষিত বিভিন্ন পশু মারা যাওয়ার ঘটনা আকছাড় ঘটছে। গতকালই উত্তরাখন্ডের এখটি ঘটনা সামনে সামনে এসেছে। মৃত্যু হল হিমালয়ের একটি কালো ভাল্লুকের । জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহেই এই ভাল্লুকটিকে পাকড়াও করার জন্য পশু চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হয়। ভাল্লুকটিকে ধরতে ঘুমের ছোড়ে তারা। কিন্তু এতেও কোনও লাভ হয়নি। এরপরও এলাকাবাসীদের আক্রমণ করে চলেছিল ভাল্লুকটি। তাই প্রাণ রক্ষার জেরে গুলি করা হয় তাকে। বনদপ্তরের কর্মী ও পশুচিকিৎসকরা চেষ্টা চালায় ভাল্লুকটিকে বাঁচাতে। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা। হিমালয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে শীত পড়লেই বসতি অঞ্চলগুলিতে ভাল্লুকের আনাগোনা বেড়ে যায়। অত্যাধিক শীতের কারণে খাবারের খোঁজে তারা পাহাড়ের ঢালে নেমে আসে। অথবা লোকালয়ে ঢুকে যায়। যার কারণে বুনো ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার হয় স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: Black bear: আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি করে হত্যা ভাল্লুককে!