‘কোনওভাবেই নিয়ম মানা হচ্ছে না’, কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ নিয়ে ফের আদালতের ধমক টুইটারকে

Twitter Row: বিচারপতি রেখা পাটিল জানান, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাবে সংস্থার ম্যানেজার পোস্টে রয়েছেন, এমন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থারই কর্মীকে নিয়োগ করার কথা সাফ জানানো হলেও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে একজন স্বাধীনভাবে কাজ করা ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে।

'কোনওভাবেই নিয়ম মানা হচ্ছে না', কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ নিয়ে ফের আদালতের ধমক টুইটারকে
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 8:38 AM

নয়া দিল্লি: দীর্ঘ টালবাহানা ও আইনি জটিলতার পর চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্রের নিয়ম মেনে চিফ কমপ্ল্যায়েন্স অফিসার নিয়োগ করেছে টুইটার।  তবুও টুইটারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট দিল্লি হাইকোর্ট। বুধবার একটি মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয় যে, কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন কোনওভাবেই অনুসরণ করছে না এই মাইক্রোব্লগিং সাইটটি।

কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রয়ুক্তি আইন আনার পর থেকেই টুইটারের সঙ্গে বিরোধ বাধে। কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়বস্তুকে ভুয়ো বা বিকৃত হিসাবে চিহ্নিতকরণ, সমস্ত ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের নিয়ম ভেঙেছে টুইটার। শাস্তিস্বরূপ আইনি সুরক্ষাও খোয়াতে হয়েছে টুইটারকে। বাকি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির সঙ্গে কোনও সমস্যা না হলেও কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ নিয়েই বারংবার টুইটারের সঙ্গে বিরোধ বেধেছে।

বুধবার বিচারপতি রেখা পাটিল জানান, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাবে সংস্থার ম্যানেজার পোস্টে রয়েছেন, এমন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থারই কর্মীকে নিয়োগ করার কথা সাফ জানানো হলেও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে একজন স্বাধীনভাবে কাজ করা ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। আদালতের তরফে বলা হয়, “মুখ্য কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাবে যাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি হিসাব মতো সংস্থার কর্মী নন। আইনকে গুরুত্ব দিতে হবে, নিয়ম অনুসরণে কিছু অন্তত পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।”

কমপ্লায়েন্স অফিসারকে “কন্টিজেন্ট ওয়ার্কার” হিসাবে চিহ্নিত করার প্রসঙ্গেও টুইটারের তুলোধনা করে আদালত। প্রশ্ন করা হয়, “কন্টিজেন্ট ওয়ার্কার কী? এই শব্দের অর্থ কী, আমাদের জানা নেই। একবার বলা হচ্ছে কন্টিজেন্ট, আবার বলা হচ্ছে তৃতীয় কোনও সংস্থার মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এটা কী? এই ধরনের হলফনামায় আমরা সন্তুষ্ট নই।”

আদালতের তরফে কড়া ভাষায় টুইটারকে জানানো হয়, তারা যেন সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রের আইন অনুসরণ করে চলে। একাধিকবার এই সুযোগ দেওয়া হবে না, সে কথাও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে কন্টিজেন্ট ওয়ার্কার বলতে টুইটার কী বুঝিয়েছে এবং কোন তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে ওনাকে মুখ্য কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আরও পড়ুন: করোনার কোপ, ভারতে উড়ান পরিষেবায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ইতি টানল এতিহাদ