Haircare Tips: ভ্যাপসা গরমে চুল ঝরছে বেশি করে? জানুন এই ৩ গোপন টোটকা…
Summer Haircare: গরমের দিনে চুলে বেশি ঘাম বসতে দেবেন না। রোজ সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সেই সঙ্গে রোদে বেরোলে সব সময় ছাতা অবশ্যই ব্যবহার করবেন
চুল নিয়ে সমস্যা, অভিযোগ নেই এমন মানুষ কিন্তু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। চুলের নানা সমস্যায় জর্জরিত ৮ থেকে ৮০। চুল ঝরে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা তো আছেই সেই সঙ্গে কম পয়সে চুলে পাক ধরা, চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাওয়া এই সংক্রান্তও একাধিক সমস্যা রয়েছে। আর তাই চুল নিয়ে চিন্তা পিছু ছাড়ে না মহিলাদের। একসঙ্গে চার বন্ধু বসে আড্ডা দিলেও কিন্তু সেখৎানে উঠে আসে এই অকালে চুল পড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, চুলের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়া এই সব সমস্যাও কিন্তু রয়েছে। অনেকেই এমন আছেন যাঁদের হেয়ার গ্রোথ খুব কম। একবার চুল কেটে ফেললে চুল আর বাড়তেই চায় না। ছোট চুল সবাই যে পছন্দ করেন এমনটা নয়।
অনেকেরই পছন্দ বড় চুল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাস্থ্যকর, কালো, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রধান হল পুষ্টি। চুল যদি ঠিকমতে পুষ্টি পায় তাহলে কোনও সমস্যা নেই। আপনা-আপনি বাড়বে চুলের বৃদ্ধিও। এছাড়াও মানসিক স্বাস্থ্য, খাদ্যাভ্যাস এসবের প্রভাবও কিন্তু পড়ে চুলের উপর। যাঁদের খুশকির সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রেও কিন্তু এই চুল পড়ে যাওয়া মস্ত বড় সমস্যা। স্ক্ল্যাপ যদি খুব বেশি তৈলাক্ত হয়, খুশকির সমস্যা থাকে তাহলেও কিন্তু কোন ভাবে চুল বাড়তে চায় না। এ ব্যাপারে কিন্তু আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। কী ভাবে শ্যাম্পু করছেন, কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন তার উপর কিন্তু নির্ভর করে হেয়ার গ্রোথ।
সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। যে শ্যাম্পু আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত এবং নিজের পছন্দ সেরকমই কিছু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু লাগান স্ক্যাল্পে। প্রথম ২-৩ মিনিট শ্যাম্পু চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ভাল করে ঘষে নেবেন। রাসায়নিক কিন্তু আপনার চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আর তাই এ বিষয়ে নিজেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যাদের স্ক্যাল্প শুষ্ক তাদের কিন্তু বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার না করারই পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এগুলি সেবেসিয়াস গ্রন্থিকে হাইপার অ্যাকটিভ করে দেয়, যেখান থেকে সিবাম নামক তৈলাক্ত পদার্থ নিষ্কাশিত হয়। আর তারা মাথার ত্বককে আরও বেশি তৈলাক্ত করে দেয়।
হেড ম্যাসাজ- সপ্তাহে একটা হেড ম্যাসাজ কিন্তু সবার জন্যই খুব জরুরি। ১০-১৫ মিনিটের ম্যাসাজ হলেই শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে। সেই সঙ্গে এপিডার্মাল এলাকায় পুষ্টিও সরবরাহ হয়।
খুশকির সমস্যা- খুশকি হলে মাথা চুলকোয়। এরজন্য কিন্তু স্ক্যাল্পেই এর প্রভাব পড়ে। এর ফলে নতুন কোশ তৈরিতে বাধা পায়। খুশকি হলে অ্যান্টি ড্যানড্রফ ফ্যাম্পু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে জিঙ্ক পাইরিথিওনের মতো সক্রিয় যৌগ রয়েছে। এটিতে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ম্যালাসেজিয়া গ্লোবোজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই সমস্যা একবার রুখতে পারলে কিন্তু চুলের বৃদ্ধিতে কোবও রকম বাধা থাকে না।
আরও পড়ুন: Summer Skin care: ট্যান আর সানবার্নের মধ্যে ফারাক কি? জানেন…