Sign Of Ageing: ত্বকেরও বয়স বেড়েছে বুঝবেন কীভাবে? যৌবন ফিরিয়ে আনতে ট্রাই করুন এই ঘরোয়া উপায়গুলি

Skin Care Tips: সমস্যাটি অত্যন্ত পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তবে সহজ কতকগুলি উপায়ে এই ধরনের কালো বা বাদামি দাগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। আর তা করা যায় ঘরোয়া উপায়েই। প্রশ্ন হল কীভাবে?

Sign Of Ageing: ত্বকেরও বয়স বেড়েছে বুঝবেন কীভাবে? যৌবন ফিরিয়ে আনতে ট্রাই করুন এই ঘরোয়া উপায়গুলি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 12:13 PM

ত্বকে বয়সের (Ageing Skin) ছাপ পড়তে শুরু করলে তা কিন্তু যে কোনও ব্যক্তির পক্ষেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বয়স বাড়তে শুরু করলে ত্বকে বাদামি ও কালো ছোপ পড়তে দেখা যায় অনেকের। এমনিতে ত্বকে বাদামি ছোপ (মেলাজমা) কিংবা ত্বকে কালো দাগ পড়া— দু’টি সমস্যাতেই সানস্ক্রিন না মেখে রোদে বেরলে ত্বকের প্রবল ক্ষতি হয়। তবে বয়সবৃদ্ধির কারণে ত্বকে দাগ পড়লে শুধু সানস্ক্রিন (Sunscreen) দিয়ে কাজ হয় না। তখন ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করতে হয়। কারণ বয়সবৃদ্ধিজনিত সমস্যা (Signs of Aging) শুধুমাত্র সূর্যালোকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। তবে হ্যাঁ, কোনও প্রতিরক্ষা ছাড়াই রোদে বেরলে তা ত্বকে বয়সবৃদ্ধিজনিত সমস্যাকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এমনকী দীর্ঘ সময় ধরে রোদে কাটাতে হলে তা দ্রুত জরাকে আমন্ত্রণ জানায়।

কীভাবে বুঝবেন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ছে?

• ত্বকে কি কালো বা বাদামি ছোপ পড়ছে? ট্যান পড়ছে দ্রুত? সহজে সেই দাগ বা ট্যান কাটতে চাইছে না?

• বয়সের দাগকে অনেক সময় লিভার স্পটও বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের সমস্যা কোনও জ্বালা-যন্ত্রণার উদ্রেক ঘটায় না। সাধারণত যাদের গায়ের রং হালকা এবং বয়স ৫০-এর বেশি হয় তাঁরাই সময়ের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। তবে আরও অল্প বয়সে এমনকী শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালের বাচ্চার মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে। মূলত সূর্যালোকে দীর্ঘ সময় কাটালে এমন সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• সাধারণত শরীরের যে যে অংশগুলি খোলা থাকে বা দেহের যে অংশে সরাসরি সূর্যালোক পড়ে সেখানেই এমন এজ স্পট তৈরি হওয়ার ভয় থাকে। উদাহরণ হিসেবে মুখমণ্ডল, ঘাড়, হাত, কাঁধ, পায়ের পাতার উপরের অংশের কথা বলা যায়।

সমস্যাটি অত্যন্ত পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন তবে সহজ কতকগুলি উপায়ে এই ধরনের কালো বা বাদামি দাগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। আর তা করা যায় ঘরোয়া উপায়েই। প্রশ্ন হল কীভাবে?

বয়সের দাগ সরানোর সহজ উপায়

• সকাল ১১ টা থেকে বেলা ৩টের মধ্যে রোদে বেরনো এড়িয়ে চলুন। কারণ সূর্যালোক ওই সময়েই প্রখর হয়ে ওঠে।

• কোনও কারণে রোদে বেরতে হলে অবশ্যই ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। এসপিএফ ৩০ কিংবা ৫০-এর সানস্ক্রিন সূর্যের ক্ষতিকর ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মিকে প্রতিহত করতে সক্ষম। তবে রোদে বেরনোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লাগানো বাঞ্ছনীয়।

• প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন লাগান। বিশেষ করে ঘাম বেশি হলে কিংবা সাঁতার কাটার দরকার পড়লে।

• রোদে বেশিক্ষণ সময় কাটাতে না হলে এসপিএফ ৩০ ত্বকের জন্য উপযোগী। তবে রোদে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা কাটাতে হলে বা পাহাড় অথবা সমুদ্রসৈকতে থাকতে হলে এসপিএফ ৫০ সানস্ক্রিন ব্যবহার ত্বকের পক্ষে উপযোগী।

• সূর্যালোক প্রতিহত করতে পারে এমন পোশাক পরা বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে বড় হাতাযুক্ত পোশাক বা পা ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরতে পারলে ভালো। হাতে লম্বা গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন। রোদে বেরলে ছাতা নিন।

এজ স্পট সরানোর উপায়

লেবুর রস: এজ স্পট দ্রুত দূর করার পক্ষে লেবুর রস খুবই কার্যকরী একটি উপায়। লেবুর রসে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড এবং প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মুখের কালো দাগ ছোপকে তাড়াতাড়ি সরাতে পারে।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এজ স্পট হালকা করার জন্য আপেল সিডার ভিনিগার অত্যন্ত শক্তিশালী একটি অস্ত্র। প্রাকৃতিকভাবেই আপেল সিডার ভিনিগারে থাকে আলফা হাইড্রক্সিল অ্যাসিড। এই প্রাকৃতিক উপকারী উপাদানটি ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ত্বকে প্রাণশক্তি প্রদান করে।

অ্যালো ভেরা: এজ স্পট অদৃশ্য করতে চাইলে অ্যালো ভেরা জ্যুস ও জেল একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে। কারণ অ্যালো ভেরায় রয়েছে বিশেষ যৌগ যা ত্বকের বয়সবৃদ্ধি থমকে দিতে পারে ও নতুন কোষ সৃষ্টিতে উৎসাহ প্রদান করে।

শশার রস: ব্লিচিং এফেক্ট রয়েছে এই ফল বা সব্জির। কারণ ফল বা সব্জিতে রয়েছে নানা উপকারী প্রাকৃতিক জৈব যৌগ যা পিগমেনটেশন আটকায় ও ত্বকের কালো দাগ সরিয়ে ফেলে। দামেও কম তাই শশা কিনতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এছাড়া সারাবছরই শশা মেলে। ফলে নিয়মিত ত্বকে শশার রস লাগানোর সঙ্গে একটি করে শশা খেতে পারলেও তা বিশেষ উপকারে আসে। শশায় থাকে প্রচুর জলীয় উপাদান। ফলে শশা খেলে শরীরে জলের অভাবে হয় না। প্রচুর ফাইবার রয়েছে তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখে। লিভার ভালো রাখে। হজমতন্ত্রের উন্নতিসাধন করে। গ্রীষ্মে বাড়ির বাইরে কাজে বেরলে তাই টিফিন বক্সে প্রচুর শশা রাখুন। মাঝেমধ্যেই খান। দেখবেন দেহে তরলের জোগান বজায় থাকার জন্য ত্বকও থাকবে টানটান। আর শরীরও থাকবে ফিট।