Ghee: ঘিয়ের আশ্চর্য গুণেই হবে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি! কীভাবে হেয়ারপ্যাক বানাবেন, জানুন

শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কারণ এটি আপনার চুলকে প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনার করে। চুলের পরিচর্চা ও চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম কাজ করতে সক্ষম।

Ghee: ঘিয়ের আশ্চর্য গুণেই হবে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি! কীভাবে হেয়ারপ্যাক বানাবেন, জানুন
ঘিয়ের প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2021 | 4:53 PM

ভারতীয় রন্ধনশৈলীতে ঘি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উপাদান। কিন্তু এটি যে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজে লাগে, সে তথ্য জানা নেই অনেকেরই। শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কারণ এটি আপনার চুলকে প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনার করে। যদিও ঘি যুক্তিসঙ্গত স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলির সঙ্গে যুক্ত। চুলের পরিচর্চা ও চিকিত্‍সার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম কাজ করতে সক্ষম।

খুব দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়- ঘি-য়ের তৈলাক্ত প্রকৃতি স্ট্রেসের গঠন উন্নত করতে দুর্দান্ত কাজ করে। মসৃণ ও শক্তিশালী গড়ে তুলতে ঘিয়ের কোনও বিকল্প হয় না। এর জন্য অল্প পরিমাণ ঘি গলিয়ে অল্প গরম অবস্থায় গোটা চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর আধঘন্টা রেখে দিন। পরে হালকা গরম জল ও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক চুলের অবস্থার জন্য- ঘি-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মাথার ত্বকের প্রবেশ করে ও শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করতে সাহায্য করে। এর জন্য সমপরিমাণ নারকেল তেল ও ঘি মিশিয়ে মাথার ত্বকে প্রায় ২০ মিনিট মাসাজ করতে হবে। তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

মেন্ডস স্প্লিট এন্ডস: স্পিল্ট এন্ড কমাতে চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘি করুন। এবার গোটা মাথায়া ব্যবহার করার পর ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু ও ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ঘি-তে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, কে২ ও ই। এছাড়া রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে। চুলের পুষ্টির জন্য ঘি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

খুশকি দূর করে- পুষ্টিকর ঘি এর সাহায্যে আপনি খুশকির চিকিৎসা করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ ঘি নিন এবং অর্ধেক লেবু নিন। এবার সেটি ছেঁকে নিন। এবার সেই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হাল্কা মাত্রার অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি কমিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকে পরিণত করে তুলতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার।

মাথার ত্বককে হাইড্রেট করে- ময়শ্চারাইজেশনের অভাবে এটি আপনার চুলকে রুক্ষ, ঝরঝরে ও শুষ্ক এবং প্রাণহীন হয়ে ওঠে। ঘি স্বাস্থ্যকর এবং সমৃদ্ধ ফ্যাটি অ্যাসিড। এরফলে চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করে। তাতে হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়। ত্বকের যত্নের রুটিনে ঘি যোগ করুন এবং আপনার মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতে এটি দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।

চুলকে শক্তিশালী ও বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে- বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে। ঘিতে থাকা ওমেগা -3 এবং ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ, ক্যারোটিনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য এটিকে দুর্দান্ত করে তোলে।

আরও পড়ুন: Sarson Tel ki Maalish: শীতে ত্বক ও চুলের সব সমস্যার সমাধান করতে সরষের তেলের মাসাজ হল মোক্ষম দাওয়াই!