Summer Skin Care: এই গরমে ত্বক আর চুলকে স্বস্তি দিতে মেনে চলুন এই সব আর্য়ুবেদিক টোটকা
Ayurvedic : এই সময় জল বেশি করে খেতে হবে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে স্নানের জলে মিশিয়ে নিন গোলাপের পাপড়ি, এসেন্সিয়ল অয়েল। এতে মন থাকবে খুশ

ভারতে বেশিরভাগ সময়েই থাকে গ্রীষ্মকাল। আর এই গ্রীষ্মেই কিন্তু বাড়ে একাধিক ত্বকের সমস্যা। সেই সঙ্গে দূষণ, শুষ্কতা এসব তো থাকেই। আর তাই এই সময়ে শরীরকে যেমন সুস্থ রাখা জরুরি তেমনই কিন্তু ত্বকের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কাজের প্রয়োজনে সকলকেই এখন বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়। আর যতই সানস্ক্রিন মেখে বেরনো হোক না কেন রোদের প্রভাব পড়ে ত্বকের উপরে। ফলে ত্বক শুকনো হয়ে যায়। ক্লান্তির ছাপ পড়ে। আর ত্বক শুষ্ক হলে কিন্তু মেজাজও খিটখিটে হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে শারীরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ার উপর কিন্তু প্রভাব পড়ে সূর্যরশ্মির। সূর্য আর বায়ুর মিলিত প্রভাবেই ত্বকের এত ক্ষতি হয়, মত আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ ভারলক্ষ্মী ইয়ানামান্দ্রার। এছাড়াও গরমে হজমের সমস্যা বাড়ে। প্রায়শই গ্যাস, অ্যাসিড, বদহজম হলে কিন্তু তার জন্যো ত্বক, চুল রুক্ষ্ম হয়ে যায়। ফলে আমাদের এমন কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে শরীর থাকে সুস্থ। ইয়ানামান্দ্রা এক্ষেত্রে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে সানস্ক্রিন ছাড়াও তিনি জোর দিতে বলছেন ডায়েটে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে বলছেন এই কয়েকটি পরামর্শ-
আর্য়ুবেদিক তেলের ব্যবহার- অনেকেই গরমে কোনও রকম তেল ব্যবহার করেন না। কিন্তু যদি এই কয়েকটি আর্য়ুবেদিক তেল ব্যবহার করতে পারেন তাতে মন থাকবে সতেজ, সেই সঙ্গে কমবে স্নায়ুর চাপও। প্রতিদিন স্নানের আগে মাথা, কাব, পায়ের পাতা এসব কোনও তেল ম্যাসাজ করুন। প্রয়োজনে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেল কিন্তু আমাদের ত্বককে শীতল রাখে।
চুলে ব্রাশ করুন- স্নান করে চুল আঁচড়ানো আবশ্যক। এছাড়াও দিনের মধ্যে অন্তত তিনবার চিরুনি দিয়ে হেয়ার ব্রাশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, সেই সঙ্গে কিন্তু গরমও কম লাগে। চুলের বৃদ্ধি ভাল হয়। চুল পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা থাকে না।
জল খান- গরমে শরীরকে যত বেশি হাইড্রেট রাখতে পারবেন ততই কিন্তু ভাল। তাই গরমের দিনে জল বেশি করে খান। ডিটক্স ওয়াটার খান। দিনের মধ্যে অন্তত ৫ লিটার জল খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে রোজ একটা করে ডাব খেতে পারলেও খুব ভাল। সেই সঙ্গে নিজেকে স্ট্রেস মুক্ত রাখুন। এতে মনও ভাল থাকবে। খাবার হজমেও কোনও সমস্যা হবে না।
স্নানের জল হোক ঠান্ডা- স্নানের জলে গোলাপের পাপড়ি, গোলাপ জল, নিমপাতা এসব মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এতে ত্বক যেমন ভাল থাকবে তেমনই আরামও লাগবে।





