Oily Skin Care Tips: বর্ষার শুরুতেই তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? হেঁশেলেই রয়েছে অব্যর্থ সমাধান
Monsoon Season: বাজার চলতি বেশির ভাগ প্রসাধনী পণ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তবে একেবারে ঘরোয়া ভেষজ পদ্ধতিতেও তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সব ঋতুতেই তৈলাক্ত ত্বকের (Oily Skin) নানান সমস্যা। গরমে আর বর্ষায় (Monsoon Season) তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা আরও বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সারাক্ষণ তেল চিটচিটে ত্বকে ধুলোবালি জমে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তেলের অতিরিক্ত উৎপাদন ত্বককে নিস্তেজ করে তোলে। অনেকেই মনে করেন, যাদের ত্বক প্রাকৃতিকভাবে তৈলাক্ত,তাদের ময়েশ্চারাইজার (Moisturiser) ব্যবহার করার দরকার নেই। এমন ধরাণা একেবারেই ভুল। এতে ত্বকের সমস্যা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তাতে ব্রণ ও ব্রেকআউটের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে তৈলাক্ত ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা খুবই জরুরি। আপনার ত্বক কতটা তৈলাক্ত তার উপর নির্ভর করে দিনে একবার বা দুবার ময়েশ্চারাইজ করতে পারেন। বাজার চলতি নানা প্রসাধনী ব্যবহার করে মুখের তৈলাক্ত ভাব কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও সমস্যা থেকেই যায়!বাজার চলতি বেশির ভাগ প্রসাধনী পণ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তবে একেবারে ঘরোয়া ভেষজ পদ্ধতিতেও তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর সেই সমাধানের সূত্র রয়েছে হেঁশেলেই।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ময়েশ্চারাইজার
দুধ: দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিডের উপস্থিতি, যার মধ্যে ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এক চতুর্থাংশ কাপ তাজা দুধ নিন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করুন। ভালো করে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করুন। মুখ ধোওয়ার আগে দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার পাবেন।
সূর্যমুখী তেল: সূর্যমুখী বীজের তেল লিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ত্বকের বাধাকে হাইড্রেট করে এবং শক্তিশালী করে তোলে। ব্যবহার করতে, ত্বকে কয়েক ফোঁটা সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করুন। সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রতিদিন অন্তত একবার প্রয়োগ করুন।
গ্রিন চা: গ্রিন টি ট্রান্স এপিডার্মাল জলের ক্ষতি রোধ করে এবং ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে। গ্রিন টি ব্যাগগুলিকে গরম জলে রেখে লিকার তৈরি করুন। এরপর সেটি আগে ঠান্ডা হতে দিন। এবার তাতে মধু মিশিয়ে প্যাকটি মুখে ও ঘাড়ে লাগান। দশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই ময়শ্চারাইজিং ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে ১-২বার ব্যবহার করুন।
গোলাপের পাপড়ি: গোলাপ জলের ত্বকে টোনিং এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট প্রভাব রয়েছে বলে প্রমাণিত। গোলাপের পাপড়ির যে কোনও ত্বককে টোনড করতে সাহায্য করে। একটি সসপ্যানে কিছু গোলাপ জল রাখুন এবং এক কাপ গোলাপের পাপড়ি দিন। ফুটে গিয়ে থকথকে হয়ে গেলে ঠান্ডা এবং স্ট্রেন। এবার তাতে অ্যালোভেরা জেল যোগ করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরির ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য ট্রান্স এপিডার্মাল জলের ক্ষয় কমাতে এবং আপনার ত্বককে পুষ্টি ও হাইড্রেট করতে সাহায্য করতে পারে। ২-৩টি স্ট্রবেরি একটি পুরু, পাল্প পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি এক টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম এবং এক থেকে দুই চা চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই ময়েশ্চারাইজিং ফেসপ্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ের ত্বকে ম্যাসাজ করুন। দশ মিনিট পর ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার পুনরাবৃত্তি করুন।
লেবু এবং মধু: লেবু ত্বকের অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট হিসেবে কাজ করে। মধু একটি চমৎকার ইমোলিয়েন্ট যা আপনার ত্বককে আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও ব্রণ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। একটি লেবু এবং মধুর রস ভালভাবে মিশিয়ে তারপর আপনার মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার এই চিকিত্সা পুনরাবৃত্তি করে সেরা ফলাফল পাওয়া যায়।