Skin Care: শীতের আগেই ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠছে? জেনে নিন কখন কখন ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা জরুরি
অনেকে মনে করেন যে তাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাই ময়েশ্চারাইজ করার দরকার নেই। এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। ত্বক যেমনই হোক না কেন, স্কিন কেয়ার রুটিনে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজ রাখা উচিত।
আপনি যদি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ না করেন তাহলে শুষ্কতা, চুলকানি, র্যাসেসের মত সমস্যা গুলি যে কোনও সময় দেখা দিতে পারে। অনেকে মনে করেন যে তাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাই ময়েশ্চারাইজ করার দরকার নেই। এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। ত্বক যেমনই হোক না কেন, স্কিন কেয়ার রুটিনে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজ রাখা উচিত। তাহলে জেনে নিন কখন বডি লোশন প্রয়োগ করা খুব জরুরি।
সকালবেলা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করলে এটি সারাদিনের ধুলো বালির সঙ্গে লড়াই করার জন্য ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। আপনি যখন বাড়ির বাইরে যান তখন একাধিক রাসায়নিক পদার্থ আপনার ত্বকের সংস্পর্শে আসে। এই সব পদার্থ গুলির হাত থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে ময়েশ্চারাইজার একটি অন্য ভূমিকা পালন করে। সকালে ব্যবহার করার জন্য অ্যালোভেরা যুক্ত ময়েশ্চারাইজারকে বেছে নিতে পারেন। যে ময়েশ্চারাইজারে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে সেই রকমই পণ্য বেছে নিন সকালে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য। সকালে যেমন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করবেন, একই ভাবে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ত্বকের ওপর বডি লোশন প্রয়োগ করুন। এটি নিজে থেকেই আপনার ত্বকের সমস্ত ক্ষত দূর করে দেবে।
স্নান করার পর, হাত ধোয়ার পর এবং শেভিং করার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ত্বকে। স্নান করার পরে ত্বককে হাইড্রেট করা জরুরি। এই হাইড্রেট করার কাজ করে ময়েশ্চারাইজার। এই কারণে ডার্মাটোলজিস্টরাও স্নানের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। একই ভাবে ত্বক এক্সফোলিয়েট করার পর, ত্বকে স্ক্রাবার ব্যবহারের পরও বডি লোশন ব্যবহার করা জরুরি। এতে ত্বকের সংক্রমণ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। তার সঙ্গে ফুটে ওঠে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা।
শেভিং করলে বা দাড়ি কামালে এটা শুধু মাত্র ত্বকের ওপর থাকা অবাঞ্চিত লোমকে দূর করে না, বরং ত্বকের ওপর থাকা মৃত কোষকেও দূর করে দেয়। মৃত কোষকের সঙ্গে সতেজ কোষও বেড়িয়ে যায় অনেক সময়। এই সময় অনেকেই ত্বকের ওপর জ্বালাভাব অনুভব করেন। এবং ত্বকের কোষ চলে যাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই এই সময় ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা জরুরি হয়ে ওঠে। এই একই কারণে ওয়াক্সিং করার পরেও ত্বকের ওপর বডি লোশন বা ময়েশ্চারাইজ করে এমন পণ্য ব্যবহার করা জরুরি। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমে যায়।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। আপনি যখন এই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলেন তখন হাতের জীবাণু দূর হয়ে যায় কিন্তু আপনার হাত শুষ্ক হয়ে ওঠে। এই কারণে হাত ধোবার পর হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোনও জায়গায় থাকলে সেখানেও ব্যবহার করুন বডি লোশন। বিশেষত ফ্লাইটে যদি কোথাও যান, তাহলে হাতের কাছে রাখুন হ্যান্ড ক্রিম ও ফেস ময়েশ্চারাইজার।
আরও পড়ুন: ঠোঁটের ওপর অবাঞ্চিত লোম আপনার সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে? ব্যবহার করুন ঘরোয়া প্রতিকার
আরও পড়ুন: রান্নাঘরে থাকা জায়ফল দিয়ে তৈরি করুন হেয়ার মাস্ক! পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন
আরও পড়ুন: চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চান? বাড়িতেই তৈরি করুন শ্যাম্পু