Growing Hair: শতচেষ্টা করেও চুল বৃদ্ধি হচ্ছে না! এই ৫টি কারণ জানলেই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন
চুলের সমস্যার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, তা হল জেনেটিক্স। চুল সাধারণত তিন পর্যায়ের চক্রে বৃদ্ধি পায়। শীতের তুলনায় গ্রীষ্মকালে চুল দ্রুত বাড়ে। এই পর্যায়য়টি সাড়ে তিন বছর স্থায়ী থাকতে পারে।
বড়লোকের বিটি লো, লম্বা লম্বা চুল…. গানের কলিতেই মিশে আছে রূপের সৌন্দর্য। পুরনোদিনের কথা অনুযায়ী, মেয়েদের লম্বা চুল রাখা সবসময়ই রুচিশীল বলে মনে করা হয়। শোভনীয়, শুভ বলে বিবেচিত হত। বর্তমানে লম্বা চুল একটি ফ্যান্টাসিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিতি মেয়েই চান তাঁর ঘন কালো লম্বা চুল থাকুক। স্টাইলের জন্য তো বটেই, স্বাস্থ্যকর জীবনধারার লক্ষণও বটে এটি। কিন্তু আপনি চুল বাড়াবেন কীভাবে? একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য়ের মধ্যে চুল বৃদ্ধি করা বর্তমানে বেশ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।
এমন একাধিক কারণ রয়েছে, যার কারণে অনেকেই চুল বৃদ্ধি করতে পারেন না। আবার অনেক অভ্যাস আছে, যেগুলিতে চুলের স্ট্র্যান্ডগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিসের কারণে তাহলে চুল বৃদ্ধিতেসমস্যা তৈরি হয় তার কয়েকটি কারণ জেনে নিন।
প্রথমেই দেখা উচিত আপনি দিনে কতটা পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ করছেন। ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিতে লম্বা ও ঝলমলে চুল শরীরে যথেষ্ট পুষ্টির লক্ষণ। আপনার ডায়েট চার্টে আয়োডিন, জিঙ্ক, ভিচামিন বি, ওমেগা ৩ ও আয়রন সঠিক মাত্রায় রয়েছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। বিশেষ করে আয়রন ভাল চুল বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে কোন ঘাটতির জন্য চুল বৃদ্ধি হচ্ছে না রক্ত পরীক্ষা করলেই জানা যাবে। তবে তার আগে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
– মাথার ত্বকের যথেষ্ট যত্ন নেওয়া দরকার। আপনার চুলের যত্ন নেওয়ার সময় ত্বকে যাতে পুষ্টি প্রবেশ করে তা দেখতে হবে। সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর মাধ্যমেই মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে মাথার ত্বকে ঘন ঘন ব্রাশ করুন। তাতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয় অতিরিক্ত ঘাম ও তৈলাক্ততা দূর হয়। মাথার ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেল ব্রাশের কারণে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়ে।
– চুলের আগা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা তৈরি হলে চুল ধীর ধীরে বৃদ্ধি হয়। তবে দ্রুত তা ভেঙে যায়। সাধারণত অতিরিক্ত তাপ ও রঙের কারণে চুলের আগা ভেঙে যায়। আপনি যদি আপনার চুল বাড়ানোর চেষ্টা করেন প্রথমে চুলের ভেঙে যাওয়া অংশগুলি ছেঁটে ফেলতে হবে।
– চুল ধীর গতিতে গজাতে শুরু করার কারণ হল অত্যাধিক তাপ। প্রচণ্ড তাপ ও প্রচুর রাসায়নিক ব্যবহার করলে স্বাভাবিকভাবে চুলের ট্রেসগুলির উপর প্রভাব পড়বে। গরমের কারণে চুল যেমন ভেঙে যায়, তেমনি ফেটেও যায়। তাপ আর্দ্রতা হ্রাস করে। চুলে এমন সমস্য়া দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সা শুরু করতে পারেন। এমন কিছু ব্যবহার করেন, যাতে চুলে আর্দ্রতা ও হাইড্রেশন যুক্ত হয়। নিয়মিত হেয়ার মাস্ক, কন্ডিশনার ও তেল ব্যবহার করার রুটিন মেনে চলুন।
– চুলের সমস্যার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, তা হল জেনেটিক্স। চুল সাধারণত তিন পর্যায়ের চক্রে বৃদ্ধি পায়। শীতের তুলনায় গ্রীষ্মকালে চুল দ্রুত বাড়ে। এই পর্যায়য়টি সাড়ে তিন বছর স্থায়ী থাকতে পারে। আনার অনেকের এই পর্যায়টি প্রায় সাত বছর ধরেও চলতে পারে। একে বলে অ্যানাজেন ফেজ। এরপরে ক্যাটাজেন ফেজ, অ্যানাজেন পর্বের পরই শুরু হয়। এট একটি ট্রানজিনাল ফেজ যা প্রায় ১০ দিন স্থায়ী হয়। এর পর আসে টেলোজেন ফেজ। যাকে বিশ্রামের পর্যায় বলা হয়। এই সময় চুল পড়ে যায়, ঝড়ে যায় ও ফলিকলগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Skin Care Tips: নখের চারপাশের ত্বককে পরিস্কার ও সুস্থ করতে মেনে চলুন তিনটি মোক্ষম উপায়!