প্রথমবার শাড়ি পরছেন? নার্ভাস নয়; রইল কিছু টিপস

প্রথমবার শাড়ি পরার সময় আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। জানবেন, এ এমন পোশাক, যা চিরকাল নারীকে জয়ী করেছে।

প্রথমবার শাড়ি পরছেন? নার্ভাস নয়; রইল কিছু টিপস
শাড়িতে শ্রীদেবী কন্যা অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 4:27 PM

বাড়ির আদুরে মেয়ে। ধমকধামক দিয়ে শাড়ি পরায়নি কেউ। কোনওদিনও বলেনি, “মেয়ে হয়েছ, শাড়ি পরা প্র্যাকটিস করো”। তাই মেয়ে যা চেয়েছে, বাবা-মাও তাই করতে দিয়েছে। ছেঁড়া জিনস পরে কেত মেরেছে মেয়ে। পরেছে অফ শোল্ডার ক্রপটপ। তাই-ই অ্যালাউ করেছে বাড়ির লোক। কিন্তু ওই যে একটা বয়স আছে, যে বয়সে ফুল ফোটে, পাতা নড়ে… প্রেমে পড়লেই মেয়েরা কেমন যেন ‘গিন্নি টাইপস’ হয়ে ওঠে। আর কথাতেই আছে ‘শাড়িতে নারী’। কোনও ছেলে মনের আঙিনায় এক্কা-দোক্কা খেললে, কোনও মেয়ে কি ছোট্টটি সেজে একলা ঘরের কোণে থাকতে পারে? তার যে মনে বসন্ত। শরীরে যৌবন। তাই ছেঁড়া জিনস ছেড়ে মেয়েটি ‘নারী’ হতে চায়। সমস্য়া একটাই, শাড়ি পরাবে কে? মা কিংবা কাকিমাই তো ভরসা। কিন্তু সবাইকে চমকে যদি নিজেই পরে ফেলা যায় শাড়ি! তাক লাগবে সকলের চোখে এবং সেই ছেলেটিরও…

সরস্বতী পুজোয় শাড়ি পরিহিত মেয়ের দল

১. সেফটি পিন – প্রথমবার শাড়ি পরছেন। তাই সবদিক সামলে চলতে হবে। বেসামাল হলে চলবে না। হাতের কাছে রেডি রাখুন সেফটি পিন। শাড়ির কুঁচিতে, আঁচলে সেফটি পিন আটকাতে হবে।

২. হালকা-পাতলা কাপড়ের শাড়ি – প্রথমবার শাড়ি পরার সময় ভারী ফ্যাব্রিক কিংবা জটিল কোনও ফ্যাব্রিক বাছবেন না। যেমন – সিল্ক, ব্রোকেড, বেনারসী, তাঁত। হ্যান্ডলুম কিংবা নাইলন সবচেয়ে উপযুক্ত। সহজেই ম্যানেজ করা যায়। শাড়ির ওজন যেন বেশি না হয়। মুশকিলে পরবেন।

৩. সায়া/পেটিকোট – উচ্চতা ও শরীরের স্থুলতা বুঝে সায়া বাছুন। মাপ অনুযায়ী সায়া বানিয়ে নিতে পারেন। শাড়ি পরার আগে সায়ার দড়ি শক্ত করে বাঁধুন। হালকা বাঁধলে শাড়ি খুলে যেতে পারে।

৪. জুতো – শাড়ি পরার আগে জুতো গলিয়ে নিন পায়ে। পরুন সায়া। তারপর শাড়ি। এর কারণ, জুতোর উচ্চতা অনুযায়ী পেটিকোট পরতে হবে। পেটিকোটের আকার অনুযায়ী শাড়ি গুঁজে পরতে হবে। গোড়ালির উপরে যেন শাড়ি না থাকে। তেমনটা হলে ফ্যাশন ফঁ পা! তবে একটা বিষয় মাথায় রাখুন, খুব বেশি হিলওয়ালা জুতো পরবেন না। পরলে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। ভয় পেলে হোঁচট খেতে পারেন।

৫. ব্লাউজ – শাড়ি দুর্দান্ত আর ব্লাউজ মান্ধাতার আমলের। মোটেই জমবে না। এখানে কায়দা করতে পারেন। এতদিন আপনার সংগ্রহে থাকা ক্রপটপগুলি ব্যবহার করতে পারেন। ফিউজ়ন পোশাক হিসেবে ফ্যাশনিস্তারা মনে করেন, এই স্টাইল চলতি। কালো ফুল হাতা স্কিন টাইট টপ করতে পারেন। স্মার্ট লুক আসবে।

৬. ইনার গার্মেন্টস – অন্তর্বাসের কথা ভুললে চলবে না। খুব লুজ হয়ে গিয়েছে এমন অন্তর্বাস পরলে কিন্তু মোটেই মানাবে না। বেছে নিন সঠিক অন্তর্বাস। ব্লাউজের রঙের সঙ্গে মানানসই অন্তর্বাস বেছে নেওয়া খুবই জরুরি।

প্রতীকী ছবি (শাড়ির পরার ছবি)

শাড়ি পরার নিয়ম

জুতো পরে নিন। তারপর পরুন সায়া/পেটিকোট। দেখবেন, জুতো যেন দেখা না যায়। তারপর শাড়িটা খুলুন। কোথায় ফল বসানো আছে দেখে নিয়ে, ফলের দিকটা নীচের দিকে ভিতরমুখী করে নিন। উপরের কোণা ডানদিকে গুঁজুন। ১৮০ ডিগ্রি কোমরে পেঁচিয়ে শাড়ি গুঁজে নিন। শেষদিকটা আঙুলে প্যাঁচ কেটে আঁচল করে ফের শরীরের ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে বাঁ-কাঁধে ফেলুন। নীচে তাঁকিয়ে দেখুন শাড়ির অনেকটা অংশ মাটিতে লুটিয়ে আছে। সেই অংশটি নিয়ে ডান আঙুলে তুলে ফের প্যাঁচ দিতে থাকুন। একটাকে বলে কুঁচি দেওয়া। এবার নাভি বারবার গুঁজে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন কুঁচি মাটিতে লুটিয়ে না থাকে। কুঁচি সমান আছে কিনা সেটাও দেখে নিন। কাঁধের কাছে ব্লাউজের সঙ্গে আঁচলে সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। সেফটি পিন লাগান কুঁচিতেও। ব্যাস, শাড়ি পরা হয়ে গেল।

এবার ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক, ছোট্ট কানের দুল… নতুন ‘আপনি’কে চিনতে পারছেন তো?

আরও পড়ুন: শুধরে নিন ফ্যাশনের এই ৭টি ভুল