Pro-inflammatory foods: এই চার খাবার মারাত্মক প্রভাব ফেলে DNA-তে, বাড়ে প্রদাহ জনিত অস্বস্তি

Anti-Inflammatory Diet: অতিরিক্ত ভাজা খাবার, প্রসেসড ফুড বা চিনি জাতীয় খাবার খেলে বাড়ে প্রদাহ জনিত অস্বস্তি। দীর্ঘদিন খেলে থেকে যায় ক্যানসারের মত সম্ভাবনা।

Pro-inflammatory foods: এই চার খাবার মারাত্মক প্রভাব ফেলে DNA-তে, বাড়ে প্রদাহ জনিত অস্বস্তি
প্রদাহ জনিত অস্বস্তি ঠেকাতে যে সব খাবার খাবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2022 | 9:31 AM

প্রত্যেকের শরীরেই প্রাকৃতিক ভাবে কিছু মাত্রায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে। যা আমাদের সাময়িক কোনও শারীরিক সমস্যা, সংক্রমণ জনিত ব্যথা ইত্যাদি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। কিন্তু দিনের পর দিন যদি শরীরে একাধিক কোনও সমস্যা লেগে থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়াই করতে হয় তাহলে কিন্তু তা কোশের জন্য হতে পারে বিপজ্জ্নক। কারণ শরীরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোনও সংক্রমণ থাকলে তা প্রভাব ফেলে আমাদের ডিএনএ-এর উপর। যে কোনও আঘাত দীর্ঘমেয়াদি হলেই কিন্তু সেখান থেকে আসে ক্যানসারের সম্ভাবনা। এছাড়াও কোশ শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধে বাধা দেয়। যে খান থেকে ডায়াবিটিসের সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। যেখান থেকে হার্চের সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দারণ ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তাই শরীরে দীর্ঘ কোনও সমস্যা বা সংক্রমণ থাকলে কিন্তু রাশ টানতে হবে খাবারেই। ভাজাভুজি, মাংস, চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এসব একেবারেই খাওয়া চলবে না। কারণ এসব খাবারই বাড়িয়ে তোলে ক্যানসার বা কিডনির সমস্যার ঝুঁকি।

চিনিযুক্ত খাবার- লিভারে ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপাদনকে বাড়িয়ে দেয় চিনি। আর তাই চিনি বেশি খেলে শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ে। যা আমাদের শরীরে চর্বি বাড়ার কারণ। নিয়মিত ভাবে কেক, কুকিজ, মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয়, সোডা, আইসক্রিম খেলে কিন্তু বাড়ে এই প্রদাহজনিত সমস্যা। আর তাই চিনি যত কম খাবেন ততই ভাল। এতে শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হবে না।

প্রক্রিয়া জাত খাবার- সসেজ, সালামি, বেকন- এই তিন জনপ্রিয় খাবার শরীরের জন্য কিন্তু খুবই ক্ষতিকারক। আর তাই প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। যে খান থেকে আসতে পারে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ জনিত সমস্যা। এতে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বেড়ে যায় তেমনই কমে রোগ প্রচিরোধ ক্ষমতা। আর তাই যে কোনও রকম প্রসেসড মিট থেকে দূরে থাকুন।

রান্নার তেল- রান্নার তেলে ওমেগা- ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা একধরণে চর্বি এবং এখান থেকে কিন্তু শরীরে শক্তিও আসে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ তেল খেলে শরীরে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মধ্যেকার কোনও ভারসাম্য থাকে না। এবং প্রদাহ জনিত সমস্যা বেড়ে যায় অনেককানিই। তাই সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্স সিডস এসব বেশি করে খান। কিন্তু তেলের ব্যবহার একেবারে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।

ভাজা খাবার- প্যাকেটবন্দি চিকেন নাগেটস, ডোনাটস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অনেকেরই খুব পছন্দ। কিন্তু এসব খাবারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রিজারভেটিভ। সেই সঙ্গে এই সব খাবার কিন্তু আমাদের শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কারণ এর মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। পরবর্তীকালে এখান থেকে ক্যানসারের মত সমস্যাও আসে।