Chia Seeds: দামেও কম আর রোজ খেলে যেমন ওজন ঝরবে তেমনই দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও
Chia Seeds Benefits: চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও এর বেশ কিছু প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে
দেখতে ছোট, খানিকটা ধূসর কালো মেশানো, গোলাকার বা ডিম্বাকার এই বীজ ইদানিং হেঁশেলের দারুণ সঙ্গী হয়ে উঠেছে। কোভিড কালের সময় থেকেই জনপ্রিয়তা বেড়েছে এই বীজের। আর এখন সেই জনপ্রিয়া একেবারে তুঙ্গে। ছোট এই বীজ পুষ্টিতে ভরপুর। মূলত সালভিয়া হিস্পানিকা প্রজাতির উদ্ভিদ হল এই চিয়া। বিদেশেও এর প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে অনেকেই চিয়া সিডস আর সবজী সিডস গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু এই দুই বীজ সম্পূর্ণ পৃথক। মূল ফারাক হল চিয়া বীজ খুব সহজেই জলে দ্রবীভূত হয়ে যায় না। কিন্তু সবজা সহজেই জল শোষণ করে নেয়। চিয়া বীজের মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে। যার ফলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। আর ওজন তো কমেই।
চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও এর বেশ কিছু প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে আছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, মাইরিসেটিন, কোয়ারসেটিন এবং কেমফেরল- যা হার্টের রোগ রুখে দেয়।
চিয়া সিডের মধ্যে থাকে অদ্রবণীয় ফাইবার। যা ওজন কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম অদ্রবণীয় ফাইবার খাওয়া প্রয়োজন। আর মেদ ঝরাতে ডায়েটের পাশাপাশি ব্যায়ামও করতে হবে।
কেন খাওয়ার আগে চিয়া বীজ ভিজিয়ে রাখা উচিত?
বীজে ফাইটিক অ্যাসিড থাকে, যা শরীরে আয়রন, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়ামের মতো পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়। ভিজিয়ে রাখার পর এই অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায় এবং বীজ খাওয়ার জন্য নিরাপদ হয়ে যায়। অন্যদিকে, চিয়া বীজ ভেজানোর পর জেলের মতো রূপ নেয়, যা অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন চিয়া সিডস
গরম দুধে চিয়া সিডস মিশিয়ে খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে।
আগের রাতে চিয়া বীজ, ফল, ওটস, দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ফ্রিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ব্রেকফাস্ট হিসেবে খেয়ে নিন।
স্যালাড, কাস্টার্ড বা পুডিং হিসেবেও খেতে পারেন চিয়া বীজ।