Health Tips: নতুন বছরে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন পুষ্টিবিদের এই ৫ পরামর্শ
Diet: যে ডায়েট আপনার পক্ষে মেনে চলা সম্ভব তাই মেনে চলুন। এমন কিছু খাবার ডায়েটে রাখবেন না যা বানাতে বেশি সময় লাগে। সেই সঙ্গে এমন কোনও খাবার রাখবেন না যা বাজারে সহজে পাওয়া যায় না। ডায়েট মেনে চলার পাশাপাশি শরীরচর্চাও কিন্তু জরুরি
যে অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা চলেছি সেই সময়ে দাঁড়িয়ে সুস্থ থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ আমাদের শরীরে এবং মনে নানা ভাবে প্রভান ফেলেছে। মানুষ যেমন স্বাস্থ্য বিষয়ে আগের থেকে সচেতন হয়েছে তেমনই কিন্তু শরীরকে ভয় পেতেও শুরু করকেছে। সেই সহজ সরল উন্মাদনা যেন আর নেই। সামান্য জ্বর-সর্দিতেও অনেকে ভেবে নেন তিনি বুঝি কোভিড আক্রান্ত। সেই সঙ্গে লকডাউনে, কোভিডে অনেকেই বাড়িতে থেকেছেন। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে কিন্তু আখেরে ক্ষতি হচ্ছে শরীরেরই। এক জায়গায় বসে কাজ করার ফলে বাড়ছে ওজন। শরীরচর্চার সুযোগও নেই। ফলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা যেন আরও বেশি জাঁকিয়ে বসছে।
বছর শেষে অনেকেই যেমন শপথ নিয়েছেন নতুন বছরে ফিট থাকতে প্রথম দিন থেকেই শুরু করবেন শরীরচর্চা, ডায়েট। তবে এসব পরিকল্পনা কিন্তু সব সময় আদৌ বাস্তবায়িত হয় না। বরং এমন কিছু শপথ নিন, যা আপনি মেনে চলতে পারবেন। আর তাই পুষ্টিবিদরা দিলেন দারুন কিছু পরামর্শ। এই নিয়ম মেনে চললে আপনি যেমন সুস্থ থাকবেন তেমনই নীরোগ এবং ফিট থাকবেন। আর এই পরিবর্তনের প্রাথমিক শর্তই হল শরীর থেকে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলা। রোজকার রুটিনে পরিবর্তন আনা।
শাক-সবজি বেশি খান- প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়াতেই হবে। ডাল, তরকারি কিংবা সিদ্ধ যে ভাবে খুশি খেতে পারেন সবজি। সেই সঙ্গে শস্যদানা খান। কুমড়ো বীজ, তিসি বীজ, চিয়া সিডস কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও ডাল খান। বাদাম রাখুন ডায়েটে। বাদামের মধ্যে আমন্ড, আখরোট এসব খান বেশি করে। সারা বছরই বাজারে অনেক রকম শাক পাওয়া যায়। যে কোনও একরকম শাক প্রতিদিন খান। প্রসেসড মিট, চিজ এসব একেবারেই কিন্তু বাদ দিতে হবে।
সহজ ডায়েট মেনে চলুন- এমন ডায়েট বাছু যা আপনি নিজে খেতে পছন্দ করেন। যে সব খাবার রোজ হাতের সামনে পাবেন। বিদেশী খাবারে ডায়েট ভরুয়ে ফেলবেন না। বিদেশী ফল-মূল খেলেও ওজন কমবে এমনও না। আবার যেখানে আপনি রোজ ভাত-ডালে অভ্যস্ত সেখানে ওটস-ডালিয়াতে পেট ভরানো খুব মুশকিলের। আর তাই ভাত-ডাল-পছন্দের সবজিই রাখুন ডায়েটে। কিন্তু পরিমাণ বুঝে খান।
ভিটামিন ডি বেশি খান- আজকাল অনেকেই ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে ভুগছেন। আর এই ভিটামিন ডি কিন্তু আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খেতেও ভুলবেন না যেন।
শরীরচর্চা করুন- শরীরচর্চা না করলে কোনও সমস্যারই সমাধান সম্ভব নয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও ৩০ মিনিট সময় আপনাকে বের করে নিতে হবে। সেই ৩০ মিনিটে আপনি হাঁটুন, প্রাণায়ম করুন, সাঁতার কাটুন বা যে কোনও মুভমেন্ট এক্সসারসাইজ করতে পারেন। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রয়োজন। ঘুম ঠিকমত না হলে শরীর বিগড়োবেই।
মানসিক চাপ কম নিন- স্ট্রেস আজকাল সকলের জীবনেই রয়েছে। কিন্তু এই স্ট্রেস কমাতেই হবে। স্ট্রেস মুক্ত না হলে শরীরের সব হরমোন ঠিক মতো কাজ করে না। তখন কম ঘুম থেকে একাধিক স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেয়।