Butter: ব্রেকফাস্টে আয়েস করে ব্রেড-টোস্টে কামড় তো দিচ্ছেন কিন্তু মাখনে ভেজাল নেই তো! যে ভাবে বুঝবেন
আজকাল নামী কেম্পানির মাখনেও ভেজাল হিসেবে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত স্টার্চ। স্টার্চ বেশি পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। কিডনির সমস্যাও আসতে পারে।
ভেজাল এখন চারিদিকেই। মানুষ থেকে মানসিকতা সবেতেই এখন ভেজাল। ভেজালের তালিকায় দুধ, ঘি আগেই ছিল এবার যুক্ত হয়েছে মাখনও। ভাত থেকে পাঁউরুটি মাখন ছাড়া আমাদের দিন অচল। মাখন, পাঁউরুটি, ডিম সিদ্ধর মতো পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট যেমন হয় না তেমনই গরম ভাতে এক চামচ মাখন মানেই অমৃত। ছোট থেকে বুড়ো- সকলেরই প্রিয় মাখন। মাখনের উপকারিতাও কিন্তু অনেক। মাখনের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এবং উৎকৃষ্ট মানের ম্যাঙ্গানিজ়, জ়িঙ্ক, সেলেনিয়াম, আয়োডিন পাওয়া যায়। ভিটামিন ও খনিজের জন্যই এর পুষ্টিগুণ বাড়ে। মাখনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকলেও এর স্বাস্থ্যগুণের জন্যই জনপ্রিয়তা এত বেশি। এছাড়াও মাখন রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।
বাজারে এখন ফ্যাট ফ্রি মাখন, মার্জারিন এসব অনেক কিছুই পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি এই মাখনেও এখন মেশানো হচ্ছে ভেজাল! মাখনে এমনিই স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকে। সেই সঙ্গে থাকে প্রাকৃতিক কিছু খনিজ। যে কারণে এর স্বাদ নোনতা হয়। সম্প্রতি ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসআই (FSSAI) তরফ থেকে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিয়োতেই বলা রয়েছে কী ভাবে আপনি বুঝবেন যে আপনার মাখনে রয়েছে ভেজাল।
দুটো কাঁচের স্বচ্ছ পাত্রে জল নিন।
এবার দুটো পাত্রেই মাখনের টুকরো ফেলে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
এবার ওই মিশ্রণে আয়োডিন সলিউশন মেশান।
যদি মাখনের রং বদলে গিয়ে বেগুনি হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন মাখনে মেশানো হয়েছে অতিরিক্ত স্টার্চ।
আর যদি এই রঙের কোনও পরিবর্তন না হয় তাহলে বুঝবেন ভেজাল নেই।
স্টার্চ যুক্ত খাবার যেমন স্বাদে মিষ্টি হয় তেমনই কিন্তু খেতেও ভাল লাগে। যে কারণে ভেজাল মেশানো মাখনের স্বাদ কিন্তু খাঁটি মাখনের তুলনায় ভাল।
মাখন আর মার্জারিনের মধ্যে যে সব ফারাক রয়েছে-
পিনাট বাটার: রোস্টেড পিনাট থেকে এই মাখন তৈরি হয়। হাই-প্রসেসড ফুড বলে এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ সাধারণ মাখনের চেয়ে অনেক কম। ভিটামিন ই, ডি, বি ও ম্যাঙ্গানিজের ভাল উৎস। এলডিএলের পরিমাণও কমাতে সাহায্য করে।
শিয়া বাটার: আফ্রিকার এক ধরনের গাছ শিয়া। সেখান থেকেই তৈরি হয় শিয়া বাটার। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ থাকার জন্য বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায় এটি।
কোকো বাটার: কেক তৈরি করতে এর ব্যবহার বেশি। সাধারণত অন্য ভাবে খাওয়া হয় না।
আনসল্টেড বাটার: এটি উচ্চমানের প্রসেসড নয় বলে খুব একটা বেশি ব্যবহার করা হয় না। তবে যে রোগের ক্ষেত্রে সোডিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে এই বাটার খাওয়া যেতে পারে।
হোয়াইট বাটার: দুধ এবং ক্রিম থেকে তৈরি এটিও আনসল্টেড বাটার। মেটাবলিজ়ম বাড়াতে সাহায্য করে।
মার্জারিনেও একই পরিমাণ ফ্যাট থাকে। কিন্তু তা স্বাদে মাখনের থেকে নিকৃষ্টমানের। তবে মার্জারিন কিন্তু শরীরের জন্য ভাল নয়।
আরও পড়ুন: Health Tips: নতুন বছরে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন পুষ্টিবিদের এই ৫ পরামর্শ