Roasted Food: অতিরিক্ত পোড়া কিংবা স্যাঁকা খাবার পছন্দ? সাবধান! বাড়তে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি…
যে সব খাবারের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে সেই সব খাবারই কিন্তু গ্রিলড কিংবা বেকড হিসেবে খেতে বেশি ভাল লাগে। তবে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করার সময় এইসব খাবারের মধ্যে যে শর্করা থাকে তা ভেঙে যায়
কড়া টোস্ট আর সঙ্গে এককাপ গরম কফি অনেকেরই ভীষণ পছন্দের খাবার। তেমনই বেগুন পোড়া থেকে টমেটো পোড়, মাছ পোড়া- শীতের দিনে এই সব খাবারের জুড়ি মেলা ভার। কাবা-তন্দুরই বা বাকি থাকে কেন! পোড়া, স্যাঁকা, ঝলসানো খাবার খেতে কিন্তু মন্দ লাগে না। বিশেষত এই শীতের দিনে। গরম চা-কফির সঙ্গে কাবাব, টোস্ট এসব খেতে দিব্য লাগে। কিন্তু জানেন কি এই পোড়া খাবারই আপনার জীবনে ডেকে আনতে পারে জটিল সমস্যা? এমনই বলছেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত পরিমাণে পোড়া খাবার খেলে থেকে যায় ক্যানসারের ঝুঁকি। তাই যাঁরা বিশেষ কোনও সমস্যায় ভুগছেন কিংবা মা হতে চলেছেন তাঁদের চিকিৎসকরা সব সময় এই পোড়া খাবার থেকে দূরে থাকতে বলেন।
খাবার বেশি পুড়ে গেলে কিংবা স্যাঁকা হলে সেখান থেকে তৈরি হয় অ্যাক্রিলামাইড। যা শরীরের পক্ষে ভাল নয়। যে সব খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করা থাকে সেই সব খাবারই কিন্তু পোড়ানো বা স্যাঁকা যায়। আর যখন দীর্ঘক্ষণ ধরে আগুনের আঁচে মাংস সেঁকা হয় তখন তার মধ্যে অ্যাক্রিলামাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা শরীরের জন্য কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। কারণ বিষাক্ত এই পদার্থ বাড়িয়ে দেয় ক্যানসারের ঝুঁকি। সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে।
শীত মানেই রোস্ট এবং টোস্টের উপযুক্ত সময়। এছাড়াও বেকিং, গ্রিলড, বারবিকিউ এইসব তো আছেই। বলা হয় এই সব কিছু কিন্তু স্থাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কারণ এতে তেল থাকে না। কিন্তু এর মধ্যে স্টার্চ বা শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর যেখান থেকেই কিন্তু বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি। সম্প্রতি ব্রিটেনে ক্যানসার রিসার্চ উইকে প্রকাশিত হয়েছে এই নিবদ্ধ। সেখানেই বলা হয়েছে ক্যানসারের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী অ্যাক্রিলামাইড। এছাড়াও আরও কিছু খাবারের কথা বলা হয়েছে। সেই সব খাবার খেলেও হতে পারে ক্যানসার।
অ্যাক্রিলামাইড যে শুধুই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় তাই নয়, সেখান থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী কোনও রোগও। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলেন বাইরের খাবার, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলতে। বরং ফল, শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। মিষ্টি, খুব বেশি নোনতা খাবার কিংবা চর্বিযুক্ত খাবার কিন্তু একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবারও এড়িয়ে চলুন। এই সব খাবার হল রোগের আঁতুড়ঘর। গ্রিলড কিংবা বেকড খাবার খেলেই যে ওজন তাড়াতাড়ি কমবে কিংবা ডায়েট করছেন বলে একপ্লেট গ্রিলড সবজি দিয়েই লাঞ্চ সারছেন এরকমটা না করাই ভাল। এতে কিন্তু শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
আরও পড়ুন: Winter Special Recipe: ক্রিসমাসের পার্টি হোক জমজমাট! তন্দুরে রাঁধুন আচারি ফিশ টিক্কা