Banana flower for Diabetes: মোচার ঘন্টই সুগারের যম! যা বলছে নয়া রিপোর্ট

Diabetes: কলার ফুলে পাওয়া যায় 'কোয়ার্সেটিন' এবং 'কেটচিন'-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে...

Banana flower for Diabetes: মোচার ঘন্টই সুগারের যম! যা বলছে নয়া রিপোর্ট
রান্না করতে খটমট হলেও শরীরের জন্য উপকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 8:15 PM

রোজ বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা, কিন্তু এর জন্য নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসাও নেই। ওষুধ, ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। তবে ডায়াবেটিসের স্থায়ী কোনও সমাধান নেই। রোজ নিয়ম মেনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখছেন মানে এই নয় যে পরপর টানা মিষ্টি খেলেও বাড়বে না রক্তে সুগারের মাত্রা। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ হলে তখনই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। যে কারণে নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করাও আবশ্যক। লিঙ্গ কিংবা গ্রাম-শহর ভেদে ডায়াবেটিসের সমস্যা আসে না। অনেকেই এমন আছেন যাঁদের পরিবারের অন্দরেই রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। যদিও আজকাল অধিকাংশই ভুগছেন টাইপ-২ ডায়াবেটিসে। আর এই ডায়াবেটিস রুখতে রোজকার জীবন-যাপনে পরিবর্তন আনতেই হবে। রোজ নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া আর শরীরচর্চা দুটোই জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিসের প্রধান সমস্যা হল জীবনযাত্রা। আর তাই রোজকার রুটিনে পরিবর্তন আনুন। সময় মেনে খাওয়া, ঘুম জরুরি। সেই সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, ফল, শাক-সবজি এই সব বেশি পরিমাণে খেতে হবে। চিনি, আলু, ময়দা একেবারেই বাদ দিতে হবে। চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন স্টেভিয়া। এছাড়াও যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, চিনির পরিমাণ কম সেই সব খাবারই বেশি পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভরসা রাখতে পারেন বিভিন্ন আর্য়ুবেদিক টোটকাতেও।

কলার পুষ্টিগুণ অনেক। কলার মধ্যে থাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ। থাকে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম। তবে যাঁদের সুগার রয়েছে তাঁদের কলা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কলার ফুল বা মোচার সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ ভূমিকা রয়েছে। কলার ফুলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। সেই সঙ্গে ফাইবার আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ থাকে বেশি। যে কারণে মোচা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে।

মোচার পুষ্টিগুণ 

মোচার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, প্রোটিন-সহ একাধিক পুষ্টি রয়েছে। ইউএসডিএ অনুসারে, ১০০ গ্রাম মোচার মধ্যে ক্যালোরি: ২৩ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট: ৪ গ্রাম, ফ্যাট: ০ গ্রাম এবং প্রোটিন: ১.৫ গ্রাম রয়েছে। এছাড়াও পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং কপারের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। শরীরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখে মোচা।

মোচার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা কোলেস্ট্রলের মাত্রা রাখে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।  কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা এড়াতেও তাই ভূমিকা রয়েছে মোচার।

কলার মধ্যে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেশি। যে কারণে কলা মিষ্টি হয়। তবে মোচায় শর্করা একেবারেই থাকে না। রয়েছে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের মোচার কোনও বিকল্প হয় না।

কিছুদিন আগে এক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কলার ফুলে পাওয়া যায় ‘কোয়ার্সেটিন’ এবং ‘কেটচিন’-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি কার্বোহাইড্রেট শোষণকারী এনজাইমকে ব্লক করে দেয়। এছাড়াও কলার ফুলে এমন কিছু উপকারী যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে পারে মোচা। থাকে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবারও। যে কারণে কমে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি। প্রোবায়োটিক হিসেবেও নামডাক রয়েছে মোচার।