Diabetes Breakfast: ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এই কম্বিনেশই সবচেয়ে ভাল! জানুন, পুষ্টিবিদরা কী বলছেন…
Blood Sugar: কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কমিয়ে ফাইবার আর প্রোটিনের মাত্রা বাড়ান। এতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত যেমন খিদে পায় না তেমনই শরীরও থাকে সুস্থ। সেই সঙ্গে চিনি একেবারেই বন্ধ করে দিন Best Breakfast Combination to Lower Blood Sugar, Says Dietitian
ব্লাড প্রেসারের মতই ব্লাড সুগারের সমস্যাও এখন ঘরে ঘরে। বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত বাড়ছে ব্লাডসুগারে আক্রান্তের সংখ্যাও। কিছু জনের ক্ষেত্রে এই রক্তশর্করার মাত্রা বৃদ্ধি জিনগত হলেও যাঁরা টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাঁদের জন্য কিন্তু দায়ী আমাদের রেজকার জীবনযাত্রা। মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা আর এই সব কারণেই কিন্তু বাড়ছে ওজন। আর ওজন বাড়লে সেখান থেকে আসে ডায়াবিটিসের মত সমস্যাও। যে কারণে জীবনযাত্রা এবং খাওয়াদাওয়ার ভূমিকা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সুগার নিয়ন্ত্রণে। চিনি, ময়দা, চাল বা কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ফাইবার, প্রোটিন এসব বেশি করে খেতে হবে।
সেই সঙ্গে রোজকার খাবার এবং পানীয়য়তেও কিন্তু আনতে হবে পরিবর্তন। আর তাই পুষ্টিবিদরা বলছেন রোজ সকালে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ব্রেকফাস্টে রাখতে। এতে রক্তশর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে কিন্তু শরীরও থাকবে সুস্থ। আর ফাইবার বেশি খেলে তা কিন্তু নিজে থেকেই রক্তশর্করার মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে সাহায্য করে।
প্রাতঃরাশে দই, বাদাম, মাখন, দুধ বা ডিম এসব তো থাকেই। সেই সঙ্গে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবারও রোজকার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। বিভিন্ন রকম সিরিয়ালস যেমন ওটস, মুজলি, কর্নফ্লেক্স এসব রাখুন ব্রেকফাস্টে। ব্রাউন ব্রেড টোস্ট করে একপিস খেতে পারেন। সেই সঙ্গে একবাটি সবজি সিদ্ধ, ফল এসব রাখতেও ভূলবেন না। মনে রাখবেন স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খেলে কিন্তু কোনও রকম ক্ষতি হয় না।
প্রোটিন এবং শাকসবজি একসঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন। তাই সবজি দিয়ে ওটস বা ডালিয়ার খিচুড়ি বানিতে নিতে পারেন। বেশ কিছু পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ব্রেকফাস্টে ফাইবার, সবজি বেশি খেলে কিন্তু সুগারের মাত্রা কমে যায়। আর এই জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। সেই সঙ্গে শরীরকে হাইড্রেটও রাখে। তবে ব্রেকফাস্টের পর যে কোনও একটা মরশুমি ফল কিন্তু রোজ খাবেন।
টকদই- সকালে খালিপেটে টকদই খেতে হবে শুনে অবাক লাগছে? ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তেমন নয়। টকদইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ওয়ালনাট, ামন্ড, কিশমিশ। এভাবে একবাটি খেতে পারেন। এছাড়াও এই মিশ্রণে যোগ করতে পারেন আপেল ও সবেদা, খেজুর কুচিও। এতে কিন্তু রক্তশর্করা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
ওমলেট- পছন্দের সবজি, ওটস, দই আর একটা ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ওমলেট বানিয়ে খেতে পারেন। এর মধ্যে যেমন প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে তেমনই কিন্তু ক্যালোরিও কম। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। অন্য কোনও অসুবিধেও হয় না।
ওটস-আপেল- ওটস দিয়ে আপলে যেমন ব্রেকফাস্ট হিসেবে খুব ভাল আবার তেমনই কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ওটস বা মুজলি দুধ দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এবার ওর মধ্যে আপেল, সবেদা, খেজুর কুচি করে দিন। এক চামচ পিনাট বাটার মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।