Food Myths: ঘি, ভাত, আম খেলে ওজন বাড়ে? যা বলছেন আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞেরা…

শরীরের জন্য ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সবই প্রয়োজন। কোনও একটাকে বাদ দিয়ে ডায়েট হয় না। বরং শরীর সুস্থ থাকে তখনই যখন এই সব উপাদান সমান ভাবে থাকে খাবারের মধ্যে

Food Myths: ঘি, ভাত, আম খেলে ওজন বাড়ে? যা বলছেন আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞেরা...
ঘি -ভাত খেলে কি ওজন বাড়ে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 8:29 AM

স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অর্থ হল পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং একটা রুটিন মেনে চলা। এমন কিছু খাবার থাকে যা কিন্তু সহজে এড়িয়ে চলা যায় না। আবার মুখরোচক খাবার মানেই তাতে থাকে বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর উপাদান। কিন্তু এই সব খাবারই আমাদের বিশেষ প্রিয়। তবে অতিরিক্ত কোনও কিছুই শরীরের জন্য ভাল নয়। আবার কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট একেবারেই বাদ দিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। সুষম আহারের অর্থ হল সেখানে সমপরিমাণে সব কিছুই থাকবে। প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সব কিছুই। তবে এই খাবার নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে নানারকম ভুল ধারণাও কিন্তু রয়েছে। অনেকেই ঘি-মাখন পুরোপুরি ভাবে ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দেন। কারণ তাঁদের বিশ্বাস রোজ রোজ এই সব খাবার খেলে ওজন বাড়ে। বাড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রাও। তেমনই আবার যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁরা আম, ভাত এড়িয়ে চলেন। কেননা তাঁরা ভাবেন এই দুটি খাবারই বাড়িয়ে দিতে পারে রক্ত শর্করা। যদিও আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞদের মতে এসব হল আমাদের ভ্রান্ত ধারণা।

ফোর্টিস এসকর্টস হার্ট ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান অশোক শেঠ জানান, চর্বি কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। আমাদের স্নায়ুর কাজ ঠিক রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই চর্বির। সব সময় সুষম খাবার খাওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। তবে ট্রান্স ফ্যাট কিন্তু একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। মূলত জাঙ্ক ফুডেই এই ট্রান্স ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। তবে আমাদের বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা একেবারেই ভেঙে উড়িয়ে দিয়েছেন এই আর্য়বেদ বিশেষজ্ঞরা।

ফোর্টিস এসকর্টস হার্ট ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান অশোক শেঠ জানান, চর্বি কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। আমাদের স্নায়ুর কাজ ঠিক রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই চর্বির। সব সময় সুষম খাবার খাওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে। তবে ট্রান্স ফ্যাট কিন্তু একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। মূলত জাঙ্ক ফুডেই এই ট্রান্স ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। তবে ভাত খেলেই শরীরে ফ্যাট জমে, এমন ধারণাও তিনি কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন যদি পরিমাণ মতো ভাত খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু মোটা হওয়ার কোনও সুযোগ থাকে না। বরং ওজন কমানোর জন্য আর্য়ুবেদে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও অসুস্থদের ক্ষেত্রে সহজপাচ্য খাবার হিসেবে খিচুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।

তবে প্রতিদিন বাসমতি চালের ভাত খেলে কিন্তু ওজন বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে আসতে পারে ডায়াবিটিস , হার্টের সমস্যা। ওজন বাড়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়- জানান চিকিৎসক ভাবসার। ফলে রোজ যাঁরা ভাত খান তাঁদের এই বাসমতি চাল এড়িয়ে চলাই ভাল। পরিবর্তে খেতে পারেন ব্রাউন রাইস, সোনা মাসুরি চাল কিংবা ঢেঁকি ছাঁটা চাল। এতে হজম করা সহজ। পেটের কোনও রকম সমস্যা আসে না। সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও বাড়ে না। তবে পেট দীর্ঘ সময়ের জন্য ভরা থাকে। আর তাই যাঁরা ভাত খান তাঁরা যদি ব্রাউন রাইস খান তাহলে তা কিন্তু সবচেয়ে ভাল।

আবার আম, কলা বা অধিক শর্করা যুক্ত এইসব ফল আর ফলের তৈরি কাস্টার্ড খেলেও ওজন বাড়ে। আর তাই এই ধারণার থেকে অনেকেই আম, কলা এড়িয়ে যান। খুব ইচ্ছে হলেও মুখে তোলেন না। বরং অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপেল খান বেশি করে। আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। কিন্তু আমে সুগার বাড়ে- এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। বলছে আর্য়ুবেদ। বরং পরিমাণের থেকে বেশি খেলে এবং কোনও রকম শরীপচর্চা না করলে তবেই কিন্তু বাড়ে রক্তে শর্করার মাত্রা।

আবার ঘি- খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে। এমন ধারণা বোধহয় একাধিক জনের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞরা উল্টো কথা বলছেন। তাঁদের মতে গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি আমাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল তৈরি করে। এছাড়াও গোরুর দুধে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে। তবে মহিষের দুধ থেকে তৈরি ঘি কিন্তু একেবারেই না খাওয়া ভাল। কারণ এর মধ্যে ফ্যাট বেশি থাকে। যা ওজন বাড়ায় সেই সঙ্গে হজমেও সমস্যা করে। ফলে যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন এবং কোনও রকম শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু মহিষের দুধ খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। সব সময় গোরুর দুধ, ঘি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।