শরীর ও মন সতেজ রাখতে মাত্র ১০ মিনিটে বানান শশা-পালং রায়তা!

শরীরের উচ্চ-পুষ্টিসম্পন্ন খাবারের জন্য শশার যে কোনও বিকল্প নেই, তা অনেকেরই জানা। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। বহু অসুখের ঔষধি হিসেবে শশা ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে পালংশাকও একটি সুপারফুড। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের পুষ্টিগুণ। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে, ওজন কমাতে, হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

শরীর ও মন সতেজ রাখতে মাত্র ১০ মিনিটে বানান শশা-পালং রায়তা!
ছবি সৌজন্যে গুগল ইমেজ
Follow Us:
| Updated on: May 27, 2021 | 11:53 AM

বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ সব খাবারের মধ্যে পুষ্টিগুণ দেখছেন। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে রাতের ডিনার পর্যন্ত। করোনার দাপটের জেরে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিয়ে ঘরবন্দি মানুষ এখন বেশ সচেতন। তাই গরমে কুল আর সতেজ থাকতে যেমন ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তেমনি সঙ্গে করোনার হাত থেকে বাংচতে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে এমন খাবারও নিয়মিত মেনুতে তালিকাভুক্ত করছেন। তবে আপনি যদি সব কিছু একটিমাত্র খাবারের মধ্যেই খুঁজে পান, তাহলে তো কেল্লাফতে। গ্রীষ্মের সময় নিয়মিত ভারী খাবার বা হাল্কা খাবারের সঙ্গে দই খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সক থেকে পুষ্টিবিদরা। শরীরের জ্বালানি হিসেবে দই হল একদম পারফেক্ট। গরমের দিনগুলিতে শরীরকে হাইড্রেট করতে, শক্তি বৃদ্ধি করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দইয়ের কোনও বিকল্প নেই। একচিমটে নুন বা চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন যে কোনও সময় দই খেতে পারেন।

অনেকে যেমন শুধু দই খেতে ভালোবাসেন, তেমনি অনেকে আবার রায়তা বানিয়ে খান। বিভিন্ন স্বাদের রায়তা এই দেশে প্রচলিত। মশলা, সবজি বা বুন্দির রায়তা তো অনেকেই চেখে দেখেছেন। এবার সার্ভ করুন শশা-পালং রায়তা!

গরমের দিনগুলিতে সুপারফুড হিসেবে বাড়িতেই চটজলদি বানিয়ে নিতে পারেন এই সুস্বাদু শশা-পালং রায়তা।

আরও পড়ুন: খিচুড়িতে না নেই বাঙালির! জিভের স্বাদ বদল করতে রান্না করুন স্পেশাল ‘মুরগি খিচুড়ি’

কী কী লাগবে

১ বাটি দই, হাফ ছোট পেঁয়াজ, হাফ ছোট শশা, ২ টেবিল স্পুন পালংয়ের পেস্ট, হাফ কুচনো পেঁয়াজ, গ্রাউন্ড জিরে, স্বাদমতো নুন, গোলমরিচ

কীভাবে করবেন

১. প্রথমে একটি বড় বোলে দই নিন। ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এরপর তাতে যোগ করুন কুচনো পেঁয়াজ ও শশা। ভাল করে মিশিয়ে নিন।

২. এবার তাতে পালং শাকের পেস্ট দিয়ে আবার ভাল করে নেড়ে নিন। যতক্ষণ না সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ফেটিয়ে যান।

৩. শেষে স্বাদ অনুযায়ী গ্রাউন্ড জিরে, নুন ও গোলমরিচ দিন।

৪. ফ্রিজে ঠান্ডা করে লাঞ্চ বা ডিনারের সঙ্গে পরিবেশন করুন।