Food Poisoning: বর্ষায় বাড়ে ফুড পয়জ়নিং-এর সম্ভাবনা; ঝুঁকি এড়াতে রান্নাঘরে মেনে চলুন এই টিপস…

Kitchen Tips: খাবার তৈরিতে পদ্ধতিগত ভুলের জন্যও দেখা দিতে পারে ফুড পয়জ়নিং। তাছাড়া দূষিত খাবার খাওয়ার জন্যও হতে পারে এই সমস্যা।

Food Poisoning: বর্ষায় বাড়ে ফুড পয়জ়নিং-এর সম্ভাবনা; ঝুঁকি এড়াতে রান্নাঘরে মেনে চলুন এই টিপস...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2022 | 7:48 AM

বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে নানা রোগের ঝুঁকি। জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা তো লেগেই রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ডায়ারিয়া, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি। কিন্তু যে সমস্যাকে আপনি এই বর্ষায় এড়িয়ে যেতে পারেন না তা হল ফুড পয়জ়নিংয়ের ঝুঁকি। বর্ষায় সবচেয়ে বেশি রোগগুলো দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হল ফুড পয়জ়নিং। দূষিত জল ও দূষিত খাবার থেকে ফুড পয়জ়নিং হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা যে শুধু রাস্তার খাবার থেকেই ফুড পয়জ়নিং হয়। কিন্তু সেটা নয়। আপনার রান্নাঘরে তৈরি খাবারও ডেকে আনতে পারে ফুড পয়জ়নিংয়ের সমস্যা।

খাবার তৈরিতে পদ্ধতিগত ভুলের জন্যও দেখা দিতে পারে ফুড পয়জ়নিং। তাছাড়া দূষিত খাবার খাওয়ার জন্যও হতে পারে এই সমস্যা। আমরা যে খাবার খাই তার মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় শরীরে গিয়ে বিষক্রিয়া তৈরি করে। তখনই বমি, পেটে ব্যথা, লুজ় মোশন হয়। এই পরিস্থিতিতে রান্নাঘরে ও খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে কিছু টিপস মেনে চললে আপনি সহজেই এড়াতে পারবেন ফুড পয়জ়নিংয়ের ঝুঁকি।

বর্ষাকালে জমা জলের কারণে মশার উপদ্রব যেমন বাড়ে তেমনই পরিবেশে তৈরি হয় কিছু ব্যাকটেরিয়া। বর্ষায় রাস্তা কেনা খাবার এড়িয়ে চলুন। খোলা জায়গায় রাখা খাবার খাবেন না। কিছু টিপস আপনাকে রান্নাঘরেও মেনে চলতে হবে।

রান্নাঘর সব সময় পরিষ্কার রাখুন। যেহেতু এখানে খাবার তৈরি হয় তাই এই জায়গা দূষিত থাকলে ক্ষতি হবে আপনার স্বাস্থ্যেরই। রান্না করার পাত্র থেকে শুরু করে ছুঁড়ি, চপিং বোড, সিঙ্ক, স্ল্যাব, বাসনপত্র সব কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এখান থেকে আপনি অনেকটা ফুড পয়জ়নিংয়ের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।

রান্না করার সময়ও আপনাকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। বর্ষায় কাঁচা শাক-সবজি সরাসরি খাবেন না। অনেকেই স্যালাদে কাঁচা সবজি খান। এতে বাড়ে ফুড পয়জ়নিংয়ের সম্ভাবনা। ভাল করে রান্না করে নিয়েই শাক-সবজি খাবেন। অর্ধ কাঁচা খাবারও কিন্তু শরীরের পক্ষে ভাল নয়। এতে বদহজমের সমস্যা বাড়ে। যদি কাঁচা স্যালাদ খান তাহলে ভাল করে সবজি ও ফলগুলো ধুয়ে নেবেন। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ সবজি বা ফল কেটে ফেলে রেখে দেবেন না। রান্নার ঠিক আগের মুহূর্তে সবজি কাটবেন। একই ভাবে খাওয়ার সময় ফল কেটে দিন। রাস্তার কাটা ফলও এড়িয়ে চলুন।

আমিষ রান্নার জন্য কাঁচা মাংস ও মাছ ভাল করে ধুয়ে নিন। খুব ভাল করে রান্না করবেন যাতে মাছ, মাংস কাঁচা না থাকে। পাশাপাশি সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করুন। মাছ, মাংস আপনি উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য সব খাবারই যে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা উচিত তা নয়। অনেক সময় তাপমাত্রার কারণে খাবারের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সঠিক তাপমাত্রা বজায় রেখে রান্না করুন।

খাবার খুব বেশি ঠান্ডা করে খাবেন না। এতে খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ৪০- ১৪০ °F-এর মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তাই ফ্রিজ থেকে খাবার বার করে সরাসরি খাবেন না। প্রথমে ওই খাবারকে ঘরের স্বাভাবিক মাত্রায় আসতে দিন অথবা ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে পুনরায় গরম করে নিন। এতেও কমবে ফুড পয়জ়নিংয়ের ঝুঁকি।